সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল পুলিশ। মঙ্গলবার, রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এক আত্মঘাতী জঙ্গিকে নিকেশ করে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। নিহত জঙ্গি জেহাদি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন জাতীয় শোক দিবসের মিছিলে হামলা চালানোই ওই জঙ্গির উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
[চ্যালেঞ্জ নিয়ে একেবারে ১০০ লঙ্কা খেয়ে কী হাল হল যুবকের?]
বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের সাক্ষী ১৫ আগস্ট। এই দিনেই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের অনেকে। তবে দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। তাই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন দেশ জুড়ে শোক দিবস পালন করা হয়। আয়োজন করা হয় মিছিলের। রাজধানী ঢাকার বুকে এমনই একটি মিছিলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি। তার সতর্কতা আগেই জারি করেছিলেন গোয়েন্দারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজধানীর একটি হোটেল ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু পুলিশের আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ওই জঙ্গি। মৃত জঙ্গির নাম সাইফুল ইসলাম। খুলনার ডুমুরিয়ায় তার বাড়ি। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের আইজি এ কে এম শহিদুল হক।
[চার বছরের জন্য থেমে যাচ্ছে বিগ বেনের ঘন্টা!]
প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসে আবারও রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
[OMG! পুলিশকে ঘুষ দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটিয়ে ফেরার কুখ্যাত দুষ্কৃতী!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.