সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ ছুঁয়েছে ভারত। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের মতো দেশকে টেক্কা দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের কুমেরু জয় করে আজ বিশ্ববন্দিত ইসরো। কিন্তু ‘ধর্মান্ধ’দের দাপটে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ আজও তিমিরে। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করলেন তসলিমা নাসরিন।
বুধবার নিজের ফেসবুকে ‘লজ্জা’ ও ‘ফেরা’র মতো মাইলফলকের স্রষ্ঠা তসলিমা লেখেন, ‘ভারত এখন চাঁদে। চন্দ্রযান-৩ আলতো ভাবে চাঁদের মাটিতে পা রাখলো এই মাত্র। অভিনন্দন ভারত। অনেকে বলবে, এত দারিদ্র, এত লোক খেতে পায় না, এত লোকের বাড়িতে টয়লেট নেই, কী দরকার চাঁদে গিয়ে, এত টাকা খরচ করে?
আমি বলবো, বিজ্ঞানের অগ্রগতির দরকার সব সময়। একই সঙ্গে দারিদ্রও দূর করা দরকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সচেতনতাও বাড়ানো দরকার। একটির উন্নতি করতে গেলে আরেকটির উন্নতি স্থগিত রাখতে হয় না।
ভারতের এককালের অংশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কি আগামী ১০০ বছরে চাঁদে পা রাখা সম্ভব? না। তারা ধর্মে ডুবে আছে, বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে। কোরানই নাকি তাদের বিজ্ঞান। যতদিন কোরান তাদের বিজ্ঞান শেখাবে, ততদিন তাদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত নয়।’
বাংলাদেশে (Bangladesh) ও পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। মুজিব ও জিন্নার দেশ দু’টি আজ কার্যত জেহাদিদের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর ধর্মের নামে এই উন্মাদনার শিকার হয়েছেন বহু মুক্তমনা। আজও স্বদেশ থেকে বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তবুও প্রতিবাদ থামাননি তিনি। বরাবর সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে নেমেছে ল্যান্ডার বিক্রম। প্রায় চার ঘণ্টা পর ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। ভারতের চন্দ্রাভিযানের মূল উদ্দেশ্য পূরণ করার মূল দায়িত্ব রয়েছে এই প্রজ্ঞানের উপরেই। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকার জলের খোঁজেই মূলত এই অভিযান চালাচ্ছে ভারত। আদৌ ওই দুর্গম এলাকায় জলের সন্ধান মিলবে কিনা, সেই প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করবে প্রজ্ঞান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.