সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে চিন (China)। বহুদিন ধরেই এই অভিযোগ উঠছে দ্বীপরাষ্ট্রের অন্দরে। এবার সরাসরি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দেশ থেকে চিনকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেন সেদেশের সাংসদ সানাকিয়ান রসমণিকম। তিনি বলেছেন, শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা জেনেও বারবার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে চিন। সেই জন্য দেশ থেকে চিনকে তাড়িয়ে দিতে চান তামিল সাংসদ (Tamil MP)। দরকার পড়লে আন্দোলন করে শ্রীলঙ্কা থেলে চিনকে তাড়ানো হবে।
সংসদে দাঁড়িয়ে রসমণিকম বলেছেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেদের মতামত দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার চিনা দূতাবাস। সংসদের মধ্যে যা আলোচনা হচ্ছে, তা নিয়ে চিনা দূতাবাসের নাক গলানোর কী দরকার?” প্রসঙ্গত, ‘বেল্ট অ্যান্ড রান’ প্রকল্পের মাধ্যমে একাধিক দেশকে ঋণ দিয়েছে চিন। বলা হয়েছে, এই ঋণের অর্থে দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উন্নতি করতে সুবিধা হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে ঋণের জালে জড়িয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিকে নিজেদের হাতের পুতুলে পরিণত করতে চাইছে চিন। সেই কারণেই বেল্ট অ্যান্ড রান প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রসমণিকম।
‘চায়না গো হোম’ (China Go Home) আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তামিল সাংসদ। সংসদে দাঁড়িয়ে বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি চিনকে সতর্ক করছি, খুব তাড়াতাড়ি দেশজুড়ে ‘চায়না গো হোম’ আন্দোলন শুরু হবে। আমি নিজে সেখানে নেতৃত্ব দেব।” তামিল সাংসদের মতে, মুখে শ্রীলঙ্কাবাসীর উন্নতির কথা বললেও আসলে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চাইছে চিন। তিনি বলেছেন, “চিন যদি সত্যিই আমাদের দেশের কথা ভাবে, তাহলে ঋণ শোধের কাঠামো সংশোধন করে দিত। তা না করে আরও ঋণ নেওয়ার পথে দ্বীপরাষ্ট্রকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চিনের থেকে ঋণ নেওয়ার পরে দেশের রাজনৈতিক ডামাডোল তুঙ্গে ওঠে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। জনরোষের মুখে পড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের প্রেসিডেন্ট ভবনে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছিলেন লঙ্কাবাসী। তড়িঘড়ি নির্বাচন করে দায়িত্ব নেন নতুন প্রেসিডেন্ট। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও ফের চিনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.