সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান আছে তালিবানেই। এই প্রথম রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে জেহাদিরা। কিন্তু সেই বৈঠক নিয়েই ছড়াল বিতর্ক। কেননা তালিবানের শর্ত ছিল, কোনও মহিলা উপস্থিত থাকতে পারবেন না বৈঠকে! সেই শর্ত মেনেও নেন রাষ্ট্রসংঘের কর্তারা। যা নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হল, তালিবান চায়নি বৈঠকে আফগান নাগরিক সমাজের কেউ থাকুক। কিন্তু তারা চায় মহিলারা জনজীবনের অংশীদার হয়ে উঠুন।
আর এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নিয়ে সরব ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাদের মতে, এভাবে তালিবানের দাবি মেনে মহিলাদের বৈঠকে থাকতে না দিয়ে কার্যত তাদের সামনে নতিস্বীকারই করল তারা।
কাতারের দোহায় রাষ্ট্রসংঘ (UN) আয়োজন করেছিল আফগানিস্তান বিষয়ক বৈঠক। সেখানে এই প্রথম উপস্থিত ছিল তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। কিন্তু দুদিনের বৈঠকে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তালিবানের শর্ত ছিল বৈঠকে কোনও মহিলাকে রাখা যাবে না। পরে এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের কর্তা রোজমেরি ডিকার্লো বলেন, ”কর্তৃপক্ষ (তালিবান) আফগান নাগরিক সমাজের সঙ্গে এই ফর্ম্যাটের বৈঠকে বসতে চায়নি। কিন্তু ওদের পরিষ্কার বলতে শোনা গিয়েছে যে মহিলা ও নাগরিক সমাজকে জনজীবনের অংশ হয়ে উঠতে হবে।”
গত এক বছরে কাতারে এই ধরনের তৃতীয় বৈঠক হল। কিন্তু তালিবানরা প্রথম এই বৈঠকের অংশীদার হল। রবি ও সোমে হওয়া বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বেরই। সেখানে আফগানিস্তানের নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষ রাষ্ট্রদূত রিনা আমিরি এবং মার্কিন ‘আফগান পয়েন্ট ম্যান’ থমাস ওয়েস্ট পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দেশের অর্ধেক নাগরিকের অধিকার কে সম্মান না করা হলে আফগান অর্থনীতির কোনও উন্নতি হওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে সূত্রের দাবি, দোহায় বৈঠকের আগেই ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হয় তালিবান প্রতিনিধিরা। মুজাহিদ জানিয়েছে, নয়াদিল্লি দোহায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) যে অবস্থান তাকে সমর্থন জানিয়েছে। এজন্য তালিবানের (Taliban) তরফে ভারতকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি কোনও দেশই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.