Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sri Lanka

Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যৎ কী? সর্বদলীয় বৈঠকেও অধরা উত্তর

কোন পথে চলবে দ্বীপরাষ্ট্র?

Talks On Interim Government Formation Fail in Sri Lanka | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 11, 2022 5:10 pm
  • Updated:April 11, 2022 5:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) ভবিষ্যৎ কী? অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পদত্যাগ করেছে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্যাবিনেট। এমন পরিস্থিতি দেশ চালাবে কে? সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (President Gottabaya Rajapaksa) এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মইথ্রিপালা সিরিসেনা (Maithripala Srisena)। কিন্তু বৈঠকেও কোনও সমাধান বের হয়নি। তাহলে কোন পথে চলবে দ্বীপরাষ্ট্র?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে। এক, শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে থেকে প্রতিনিধি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গড়তে পারে ওই দ্বীপরাষ্ট্র। দুই, দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটতে পারেন রাজাপক্ষে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলাদা করে নির্বাচন হয়। কিন্ত বর্তমানে সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে নির্বাচন করা কতটা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় নয়া মোড়, স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ হাই কোর্টের]

এদিকে রবিবারের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এনিয়ে দ্বিতীয় দফা বৈঠক বসতে পারে দু’পক্ষই। সূত্রের খবর, এনিয়ে ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষেকে চিঠি দিয়েছে মইথ্রিপালা সিরিসেনার দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি। ১১টি দলকে নিয়ে সরকার গড়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে দেশের এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা। তবে সাংবিধানিক পদে হেঁটেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ জারি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রে। 

ভারতের প্রতিবেশী দেশটিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় বন্ধ। দিনের ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা। বিদ্যুতের অভাবে থমকে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবা। জীবনদায়ী ওষুধও অমিল দ্বীপরাষ্ট্রে। খাদ্য সামগ্রীর দামও ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। এমন পরিস্থিতি কীভাবে চলবে দেশ, তা নির্ধারণ করতেই ফের বৈঠকে বসবে দলগুলি। 

[আরও পড়ুন: SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: কলকাতা হাই কোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট তদন্তকারী কমিটির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement