সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্জশিরে (Panjshir) আগেই ধাক্কা খেতে হয়েছিল। এবার তালিবানের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত জালালাবাদেও শোনা গেল প্রতিরোধের সুর। আর সেই প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন মহিলারা। সংবাদসংস্থার খবর, একদা নিজেদের ‘হাতে’ থাকা জালালাবাদে বুধবার সকালেই প্রতিরোধের মুখে পড়ে তালিবান। আফগানিস্তানের (Afghanistan) জাতীয় পতাকা হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে, এই প্রতিবাদের মুখ হন আফগান মহিলারাই।
‘তালিবান চাই না’, এই স্লোগান তুলে রাস্তায় নামেন আফগান মহিলারা। জালালাবাদ (Jalalabad) শহরের মূল বাজার এলাকায় জনতার প্রতিবাদের মুখে পড়ে তালিবানরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে তালিবান পতাকা খুলে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। এর মধ্যেই বেরিয়ে আসে তালিবানের আসল রূপ।
সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের সাংবাদিকের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় তালিবান (Taliban)। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বাজার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় জখম হয় এক ডজনের বেশি সাধারণ মানুষ। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, ক্ষমতা দখলের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিরোধের মুখে তালিবান। যা তাদের কাছেও ‘অশনি সংকেত’ বলে দাবি কূটনৈতিক মহলের। বিশেষ করে জালালাবাদের মতো জায়গায়, যেটিকে এতদিন তাদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করা হচ্ছিল।
আসলে মঙ্গলবার থেকেই উত্তর কাবুলে (Kabul) পঞ্জশিরে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। স্থানীয় প্রতিরোধে বেশ কিছু এলাকা হারিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। আর তালিবান বিরোধী এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদ্য-প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির (Ashraf Ghani) ‘ডেপুটি’ আমরুল্লা সালেহ। তিনি বুধবারই ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের এই এলাকা দিয়েই কাবুল থেকে মাজার-শরিফের পথ গিয়েছে। বিরোধী জোটের এই প্রত্যাঘাতের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে তালিবানের অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেল বলেই কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.