সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে (Afghanistan) আর অস্ত্র বিক্রি নয়। অবশেষে নড়েচড়ে বসল আমেরিকা। শুধু তাই নয়, আমেরিকা জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দর এখনও পুরোপুরি সুরক্ষিত এবং মার্কিন সেনার দখলে। প্রয়োজনে আগস্টের পরেও আফগানিস্তানে থাকবে মার্কিন সেনা।
আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থার জন্য কারা দায়ী? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই আঙুল তুলছে আমেরিকার দিকে। প্রায় দু’দশক ধরে আফগানভূমে থাকার পর হঠাত মার্কিন সেনা (US Army) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, ২০ বছরেও তালিবান সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করা, এত দীর্ঘ সময়েও আফগান সেনাকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দেওয়া, এমন নানাবিধ অভিযোগ আমেরিকার বিরুদ্ধে। অনেকে আবার আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থানের পিছনে মার্কিন ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও তুলে ধরেছেন।
সার্বিকভাবে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চাপে জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। এমনকী এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য আমেরিকার নাকি বিডেনের জনপ্রিয়তাও তলানিতে। স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করতে হত। তিনি দেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছেন, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আর কোনও অস্ত্র বিক্রি নয়। শুধু তাই নয়, এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী দিনে প্রয়োজনে পূর্বনির্ধারিত সীমা আগস্টের পরেও আফগানিস্তানে থাকবে মার্কিন সেনা। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে আফগানভূমে মার্কিন সেনা আছেন ৫ হাজার ২০০ জন। এবং কাবুল বিমানবন্দর এখনও পুরোপুরি তাঁদের কব্জায় আছে।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অবশ্য নিজের উপর দায় নিতে নারাজ বাইডেন। তিনি বলছেন,”আমেরিকা (USA) গোটা বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।কিন্তু বন্দুকের নলে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা যায় না। আফগানদের দেখাশোনার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তালিবানদেরই নিতে হবে।” যদিও বাইডেনের দাবি, তালিবান এখনও আগের মতোই গোঁড়া মানসিকতারই রয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.