Photo credit: AFP
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব নয়। রাস্তায় বেরতে হলে পরতে হবে ‘চাদরি’ অর্থাৎ এক ধরনের বোরখা। ঢেকে রাখতে হবে সমস্ত শরীর। শনিবার আফগান (Afghanistan) নারীদের উদ্দেশে এমনই ফতোয়া জারি করল তালিবান (Taliban)। গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল জেহাদিরা। নতুন করে সেদেশে শুরু হয়েছিল অন্ধকার যুগ। যদিও ক্ষমতা দখলের পরে তারা জানিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। গতবারের মতো দমন পীড়ন নয়, বরং সাধারণ আফগান বিশেষ করে নারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্রতী থাকবে তারা। কিন্তু তা যে স্রেফ ‘ফাঁকা বুলি’, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার তা একেবারেই স্পষ্ট হয়ে গেল। ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই নির্দেশকেই তালিবানের সবচেয়ে কড়া নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা এও জানিয়ে দিয়েছে বাড়ির পুরুষ আত্মীয়দের সামনেও মুখ হিজাবে ঢেকে তবেই আসা যাবে শরিয়তি নিয়ম মেনে। কেবল চোখ ছাড়া আর কিছু দৃশ্যমান রাখা যাবে না। যদিও এই নিয়ম থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে বয়স্ক মহিলা ও শিশুকন্যাদের। সেই সঙ্গে আখুন্দজাদার আরেক ফতোয়া, প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই থাকবে হবে মহিলাদের।
উল্লেখ্য, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরেছে তালিবান। বিভিন্ন অপরাধে হাত-পা কেটে ফেলা, শিরশ্ছেদের মতো শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছে তালিবান নেতৃত্ব। গতবছর চার অপহরণকারীকে হত্যা করে তাদের দেহ প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল তালিবানকে। সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। এমনকী, কাবুল দখল করার আগে যখন একে একে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ দখল করছে তালিবান, সেই সময় এক কৌতুকশিল্পীকে মানুষকে হাসানোর ‘অপরাধে’ মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তারা। সেই সঙ্গে নারীর স্বাধীনতাকে খর্ব করার সবরকম ফতোয়া জারি করা হয়েছে। শনিবারের নির্দেশের পর থেকে পরিষ্কার, আগামিদিনে আরও কঠোর চেহারায় অবতীর্ণ হতে চলেছে তালিবান।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল সময়কালে প্রথমবার তালিবানের নির্যাতনের সাক্ষী হয়েছিল আফগানিস্তান। যার অন্যতম ভুক্তভোগী ছিলেন মহিলারা। তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কিংবা যে কোনও কারণে বাইরে বেরনোয় জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই দিনই ফের ফিরতে চলেছে আফগানিস্তানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.