Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করা ভুল, মানছে তালিবান, কেন আচমকা উলটো সুর?

ধর্ম ও আধুনিক শিক্ষার মধ্যে বিরোধ নেই, মত তালিবান মন্ত্রীর।

Taliban ministers speak in favor of women's education | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:December 8, 2023 10:53 am
  • Updated:December 8, 2023 10:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীশিক্ষায় বাধা দেওয়ার কারণেই আমজনতার থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যাচ্ছে তালিবান (Taliban) প্রশাসন। এই কথা স্বীকার করলেন তালিবানের বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। তাঁর মতে, মেয়েদের জন্য অবিলম্বে স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া উচিত। তালিবানের উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী নুরউল্লাহ নুরি সাফ জানান, ধর্ম ও আধুনিক শিক্ষার মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। দেশের ধর্মীয় স্কুলগুলোতেও শিক্ষার মান অত্যন্ত খারাপ বলেও মেনে নিয়েছেন তালিবান শিক্ষামন্ত্রী হাবিবুল্লাহ আগা। তালিবানের উলটো সুর শোনা গেল একসঙ্গে তিন মন্ত্রীর গলায়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মেয়েদের স্কুল কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান।

আফগানিস্তানের (Afghanistan) সংবাদমাধ্যম টোলো সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে তালিবান বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ঈশ্বরই সকলকে শিক্ষার অধিকার দিয়েছেন। কেউ যদি এই অধিকারে বাধা দেয় তাহলে সেটা আফগানদের দমন করার সমান। আমাদের প্রতিবেশী ও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হল শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশের মানুষও যে আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তার নেপথ্যেও রয়েছে শিক্ষায় বাধার বিষয়টিই।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরবর্তী ত্রৈমাসিকের রেপো রেট ঘোষণা করল RBI, গাড়ি-বাড়ির EMI কি বাড়ছে?]

বিদেশমন্ত্রীর সুরেই গলা মেলান উপজাতিমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। তাঁদের মতে, আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে ধর্মের কোনও বিরোধ নেই। ইসলামি আদর্শ মেনেও পড়াশোনা চালানো যায়। আফগানিস্তানের ধর্মীয় স্কুলে শিক্ষার মান খুবই খারাপ। ধর্মগুরুদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ, তাঁদের পরিচালিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে কেবল পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে আফগানিস্তানের মেয়েরা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই তালিবান সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। সেদেশের প্রশাসনের মতে, বিশ্বের প্রত্যাশাগুলো পূরণে আফগানিস্তান সচেষ্ট হবে। একই সঙ্গে ভারতেও দূতাবাস খোলার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান। তার পরেই নারীশিক্ষার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল তালিবান মন্ত্রীদের। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ফায়দা তুলতেই কি আচমকা ভোলবদল ইসলামিক সংগঠনটির? 

[আরও পড়ুন: ভোটে ভরাডুবির পর মধ্যপ্রদেশে নতুন মুখ খুঁজছে কংগ্রেস, তবে কি ইস্তফা দিলেন কমল?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement