সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তুঙ্গে সীমান্ত সংঘাত। গত ডিসেম্বর মাসে ডুরান্ড লাইন বা আফগান-পাক সীমান্তে পাকিস্তানি ফৌজকে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে বাধা দেয় তালিবান (Taliban)। এহেন সময়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে তালিবান।
আফগান সংবাদমাধ্যম টলো নিউজ সূত্রে খবর, সীমান্ত সংঘাত মেটাতে কয়েকদিন আগেই কাবুলে আসেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ। দু’দিনের সফর শেষে রবিবার বিকেলে ইসলামাবাদ ফিরে যান তিনি। তারপরই বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছে তালিবান। আফগানিস্তানের জেহাদি সরকারের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আবদুল সালাম হানাফির নেতৃত্বে হওয়া এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে ইসলামিক আমিরশাহীর মুখপাত্র ইনামুল্লা সামাঙ্গানি বলে, “এই কমিটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ডুরান্ড লাইনে তৈরি হওয়া সমস্যার সমাধান। একইসঙ্গে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা জনিত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবে কমিটি।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতে জড়ায় পাক সেনা ও আফগান তালিবান। দু’টি প্রথক ঘটনায় পাক সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের নিমরোজ ও নানগরহার প্রদেশে সীমান্ত বরাবর বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ। কিন্তু সেই ফেন্সিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেখানে মোতায়েন তালিবান সীমান্তরক্ষীরা। শুধু তাই নয়, বাধা দিলে পাক ফৌজিদের গুলি করারও হুমকি দেয় তারা। ওই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে পড়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশাসন। বাধ্য হয়ে মুখরক্ষায় কাবুলের তালিবান প্রশাসনের কাছে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাত নতুন কিছু নয়। তালিবানও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দুই দেশের সীমান্ত নির্ধারণকারী ডুরান্ড লাইন মানবে না তারা।
বলে রাখা ভাল, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করেছে পাকিস্তান। আর অতীতকাল থেকেই সেই সীমান্ত নিয়ে সংঘাত চলছে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও আফগান সরকার ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাক নীতিনির্ধারকরা মনে করছিলেন তালিবান ক্ষমতায় এলে তারা সেই স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল জেহাদিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.