Advertisement
Advertisement
Taliban

চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক তালিবানের, উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন বেজিং

উইঘুর জঙ্গিদের মদত দিতে পারে তালিবান।

Taliban delegation meets Chinese foreign minister Wang Yi | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 28, 2021 4:02 pm
  • Updated:August 24, 2021 2:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল তালিবানের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতি ও উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: টিকার দু’টি ডোজ নিলেও পরতে হবে মাস্ক, ফের বিধি বদল আমেরিকায়]

হংকং স্থিত চিনা সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট’ সূত্রে খবর, বুধবার উত্তর চিনের তিয়ানজিন শহরে তালিবানের প্রধান মধ্যস্থতাকারী আবদুল ঘানি বারাদার ও মুখপাত্র সুহেল শাহিনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বলে রাখা ভাল, তালিবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হচ্ছে আবদুল ঘানি বারাদার। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় মুখ্য ভূমিকা ছিল তার। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্তিবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে বেজিং। শি জিনপিং প্রশাসনের আশঙ্কা, চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে পৃথক উইঘুর রাষ্ট্র গঠনের লড়াইয়ে ‘Eastern Turkistan Islamic Movement’ জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে মদত দিতে পারে তালিবানের একাংশ। তাই উইঘুর জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ে আপত্তির কথা তালিবানের কাছে স্পষ্ট করেছে চিন বলেই মত। গত জুন মাসেও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তালিবানকে রাজনীতির মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার কথা ঘোষণা করে চিন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভারতের প্রভাব খর্ব করতে তালিবান জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান বলে স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ জানিয়েছে আফগান প্রশাসন। রাষ্ট্রসংঘের এক পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছর এপর্যন্ত গৃহযুদ্ধে অন্তত ১ হাজার ৬৫৯ জন সাধারণ আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ২৫৪ জন। উল্লেখ্য, মার্কিন ফৌজ সরতেই আফগানিস্তানে তুমুল লড়াই শুরু করেছে তালিবান (Taliban)। দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে জেহাদি সংগঠনটি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আফগান সরকারি বাহিনীর বহু সৈনিক প্রাণ বাঁচাতে তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে কাবুলের পতন সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

[আরও পড়ুন: Pakistan থেকে সরে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে লস্কর, ভারতকে জানাল কাবুল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement