সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন বাহিনী (US Troop) আফগানিস্তান ছাড়তেই কাবুল বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে তালিবান (Taliban)। ‘যুদ্ধজয়ের’ আনন্দে রকেট ছুড়েছে তারা। কোথাও আবার বিমান ওড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু লাভ কী? বিমান ওড়াতেই জানে না অধিকাংশ তালিব জেহাদি। শুধু কী তাই, ভেঙেচুরে রয়েছে বিমানবন্দরের রানওয়ে। নেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ব্যবস্থা। পরিস্থিতি দেখে তো মাথায় হাত পড়েছে তালিব কর্তাদের। তাহলে উপায় কী? শেষপর্যন্ত বিমানবন্দরের হাল ফেরাতে বিদেশি শক্তিকেই ডেকে পাঠাল তালিবান।
সূত্রের খবর, বিমানবন্দর (Kabul Airport) মেরামত এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য কাতারের দ্বারস্থ হয়েছে তালিবান। তাদের অনুরোধ মেনে বুধবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে কাতারের বিমান। এসেছেন এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরাই কাবুল বিমানবন্দরের পুনর্গঠন এবং বিমানগুলির মেরামতির কাজ সারবেন।
যদিও একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, তালিবদের অনুরোধে সাড়া দিয়েই আফগানিস্তানে (Afghanistan) এসেছি দলটি। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করেনি কাতারের (Qatar Special Team) বিশেষজ্ঞ দল। বরং বিভিন্ন শর্ত এবং চুক্তি নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তারা। সেই জট কাটলে তবেই শুরু হবে বিমানবন্দর পুনর্গঠনের কাজ। মূলত, ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং উদ্ধারকার্য পুনরায় চালু করার উদ্দেশেই কাবুল বিমানবন্দরের পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে মনে করছে কাতারের বিশেষজ্ঞ দল।
এ প্রসঙ্গে তালিবানের (Taliban Terror) শীর্ষ নেতা আনাস হাক্কানি জানিয়েছে, “বিশেষজ্ঞ দলটি কাবুল বিমানবন্দরে তার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেবে। দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হবে।” যদিও বিমানবন্দর নষ্ট হওয়ার পুরো দায়-ই পশ্চিমি শক্তিগুলির ঘাড়ে চাপিয়েছে সে। হাক্কানির কথায়, “উদ্ধারকার্য চলার সময় পশ্চিমি শক্তিগুলি বিমানবন্দর নষ্ট করেছে।”
Watch: A Qatari aircraft lands in #Kabul carrying a technical team to discuss the resumption of airport operations after the Taliban takeover of #Afghanistan, according to a source with knowledge of the matter.https://t.co/xlgRxMM8m0 pic.twitter.com/KJRDORsyxV
— Al Arabiya English (@AlArabiya_Eng) September 1, 2021
জানা গিয়েছে, দেশ ছাড়ার আগেই আফগান বায়ুসেনার ৭৩টি বিমান অকেজো করে দেয় মার্কিন ফৌজ। কাবুল বিমাবন্দর দখল করলেও তা পরিচালনা করার মতো দক্ষতা নেই তালিবানের। বিশেষ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে শুরু করে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো পরিকাঠামো এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে নেই। আর বিমানবন্দরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রায় সকলেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। একইসঙ্গে, কোনও বিদেশি বাণিজ্যিক বিমানসংস্থা যুদ্ধজর্জর আফগানিস্তানে পরিষেবা দিতে রাজি নয়। এহেন পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও কাতারের কাছে বিমানবন্দরটি পরিচালনা করার আবেদন জানিয়েছে তালিবান বলে সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.