সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে জেরবার আমেরিকা। ভারত-সহ বিশ্বের বাকি দেশগুলিও তাকিয়ে তালিবানের গতিবিধির দিকে।এহেন টালমাটাল পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের অকাশসীমায় ঢুকে পড়ল অন্তত ১৯টি চিনা যুদ্ধবিমান।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, রবিবার তাইওয়ানের (Taiwan) প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ করে চিনের অন্তত ১৯টি যুদ্ধবিমান। রাডারে বিমানগুলি ধরা পড়তেই হামলা বা সংঘাত ঠেকাতে অনুপ্রবেশকারী বিমানগুলিকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়। জানা গিয়েছে চিনা যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ছিল চারটি H-6 বোমারু বিমান, দশটি J-16 ফাইটার জেট, চারটি SU-30 যুদ্ধবিমান, একটি ট্যাঙ্কার ও একটি নজরদারি বিমান। এই বিষয়ে তাইওয়ান প্রতিবাদ করলেও মুখ খোলেনি চিন।
এর আগে গত মে মাসে তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন’-এ ঢুকে পড়েছিল চিনের দু’টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে একটি ছিল সাবমেরিন শিকারি ‘শানশি ওয়াই-৮’ বিমান। এই প্লেনগুলিতে অত্যন্ত আধুনিক সনার ও রাডার রয়েছে যার ফলে এরা সহজেই প্রতিপক্ষের সাবমেরিন খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, একাধিক মিসাইল ও বোমা নিয়ে ডুবোজাহাজ ধ্বংস করে বিপক্ষের নৌসেনাকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে এই বিমানগুলি।এছাড়া, তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’ অর্থাৎ চিনা বিমানবাহিনীর আরও একটি যুদ্ধবিমান। ‘শানসি ওয়াই-৮’ নামের ওই বিমানটি ‘ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার’ বা শত্রুপক্ষের রাডার এবং যন্ত্র অকেজো করতে সক্ষম। ফলে তাইওয়ানের সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জামই চিনের নিশানা ছিল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা (America) জেরবার। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালিবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের উপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সদ্য আফগানিস্তানে ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চিনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.