সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালে আমেরিকার তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়েছে চিন। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে বারবার প্রবেশ করছে লালফৌজের যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনা রণতরীও। পালটা, বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে ফের আমেরিকা থেকে বিপুল অস্ত্র কিনতে চলেছে তাইওয়ান।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, আমেরিকা থেকে দ্রুত ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিনতে চলেছে তাইওয়ান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুয়ো চেং জানিয়েছেন চলতি বছরই এই সমরাস্ত্রগুলি তারা পেতে চলেছেন। দেশের সংসদে তিনি জানান, বিগত দিনে আমেরিকা থেকে অস্ত্র পেতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তাই এই ৫০ কোটি ডলারের প্যাকাজ থেকে ফাস্টট্র্যাক মাধ্যামে তাইওয়ানকে হাতিয়ার দেওয়া হবে। তবে এই প্যাকেজে কোন কোন ধরণের অস্ত্র বা সরঞ্জাম থাকবে সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘তাইওয়ান পলিসি অ্যাক্ট’ আনে আমেরিকা। এই আইনে তাইপেইকে আরও দ্রুত সামরিক সাহায্য দেবে ওয়াশিংটন। এই আইনে চার বছরে তাইওয়ানকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার অস্ত্র দেবে মার্কিন প্রশাসন। উল্লেখ্য, রুশ-আমেরিকা যুদ্ধের জেরে জমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম বিমান বিধ্বংসী মার্কিন স্টিংগার মিসাইলের জোগানে টান পড়েছে। এছাড়া, চলতি বছর তাইওয়ানকে ৬৬টি অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ছিল আমেরিকার। কিন্তু সেই সময় প্রায় আরও একবছি পিছিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, বিগত দিনে বেশ কয়েকবার তাইওয়ানের (Taiwan) ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে চিনের যুদ্ধবিমান। লালফৌজের বিমানগুলির মধ্যে ছিল ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান। পালটা নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠায় তাইওয়ান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে চিনা রণতরীও। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিনের এহেন আগ্রাসন কি ভবিষ্যতে হামলার ইঙ্গিত? উঠছে এমন প্রশ্নই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.