সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক চিন’ নীতির অন্তর্গত তাইওয়ানের উপর দাবি সাব্যস্ত করে এসেছে চিন। তবে বরাবরই বেজিংয়ের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়েছে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটি। সম্প্রতি, হংকংয়ে চিনা দমননীতি ও লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনে অশনিসংকেত দেখছে তাইপেই। তাই লালফৌজ হামলা করলে কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, সেই কৌশল ঝালিয়ে নিতে সামরিক মহড়া শুরু করল তাইওয়ানের সেনাবাহিনী।
সোমবার থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত সামরিক মহড়া চলবে তাইওয়ান সেনার তিন বাহিনী (Army, Navy, Air Force)। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাইচুং শহরে চলছে মহড়ার একটি অংশ। এর উদ্দেশ্য চিনা হানাদার বাহিনী হামলা চললে কীভাবে তাদের রুখে দেওয়া হবে, সেই কৌশল আরও খানিকটা ঝালিয়ে নেওয়া। এই মহড়া দেখতে এদিন উপস্থিত রয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই চিনের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন তিনি। যে কোনও মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা হবে বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
১৯৮০ সাল থেকেই প্রতিবছর ‘Han Kuang military exercise’ শীর্ষক সামরিক মহড়ার আয়োজন করে তাইওয়ান। এর উদ্দেশ্য চিনা আগ্রাসন রুখে দিতে ফৌজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা। তবে এবারে বিষয়টি অন্য মাত্র পেয়েছে। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম সাবমেরিন থেকে টর্পেডো ছুঁড়েছে তাইওয়ান নৌসেনার একটি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন। ১৩ বছরে এই প্রথম সামরিক মহড়া এহেন অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে তাইওয়ান। সব মিলিয়ে চিনের সঙ্গে যে উত্তেজনা তুঙ্গে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দলাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাইপেই সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে যে চিনা হুমকির সামনে মাথা নত করবে না দেশটি। এছাড়া, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে আসছেন তাইওয়ানের (Taiwan) প্রবীণ কুটনীতিবিদ বাউশুয়ান গের। গত সাত বছর ধরে নয়াদিল্লিতে এই পদে যিনি ছিলেন, সেই তেন চুং কুয়াং উপবিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন। কুটনীতিবিদের একাংশের মতে, নয়া দূত নিযুক্ত করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে এক নয়া দিশা দিতে চাইছে তাইওয়ান। সব মিলিয়ে চিনের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট খুলতে তাইওয়ান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.