সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন নীতিতে আমূল পরিবর্তন করল আমেরিকা। বেজিংকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই প্রথম কোনও উচ্চপদস্থ কর্তাকে সেদেশে পাঠাচ্ছে আমেরিকা (US)।
জানা গিয়েছে, শীঘ্রই তাইওয়ান যাচ্ছেন মার্কিন স্বাস্থ্যসচিব অ্যালেক্স আজার। সেখানে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এই বিষয়ে মার্কিন ক্যাবিনেট সদস্য অ্যালেক্স আজার বলেন, “আমি তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রামপের বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে উদগ্রীব। স্বাস্থ্যরক্ষা গণতান্ত্রিক সমাজই সবচেয়ে বেশি সফল। আমরা দুই দেশেরই এমনটা বিশ্বাস।” এই সফরে মূলত করোনা মোকাবিলা নিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে আলোচনা করবেন আজার বলে খবর।
এদিকে, কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, ‘এক চিন’ নীতি থেকে দূরে সরে বেজিংকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের আগ্রাসনের জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি, তাইওয়ান দখলে লালফৌজ হামলা চালালে আমেরিকা যে ছেড়ে কথা বলবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত কয়েক মাস ধরেই এ অঞ্চলে সামরিক হুমকি বাড়িয়ে চলেছে চিন (China)। তারা তাইওয়ান দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা জোরদার করছে, এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে তাইপেইয়ের তরফে। কয়েকদিন আগে লালফৌজের পদস্থ আধিকারিক কর্নেল রেন গুয়োকোয়াং সাফ হুমকি দিয়েছেন, তাইওয়ান (Taiwan) দখল করবে চিন। চাইলেও তা আটকাতে পারবে না আমেরিকা।
উল্লেখ্য, চিন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চিন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও জেদংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা চিয়াং কাই শেকের জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চিন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেজিংভিত্তিক চিনা সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। বর্তমানে তাইওয়ানকে চিনের স্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.