Advertisement
Advertisement

Breaking News

ছোট চেহারাতেই ভয়ংকর রূপ, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোত

তাল 'বেবি ভলক্যানো' বলে পরিচিত।

Taal in Philippines is very small but dangerous volcano
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 14, 2020 5:01 pm
  • Updated:January 14, 2020 5:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট দ্বীপের আগ্নেয়গিরির আতঙ্ক এখনও মুছে যায়নি। গত বছরের শেষটা লাভা আর ছাই নির্গমনের জেরে ধোঁয়ায় ঢাকা আকাশ দেখেই কাটিয়েছেন নিউজিল্যান্ডবাসী। আচমকা অগ্ন্যুৎপাতে ঝলসে গিয়েছে অনেকের দেহ। কেউ ঢলে পড়েছেন মৃত্যুর মুখে। সেই বিপর্যয়ের টাটকা স্মৃতির মাঝেই ফের জেগে উঠল ফিলিপিন্সের ‘বেবি ভলক্যানো’ – তাল। গলগলিয়ে লাভা উদগীরণ আর ধোঁয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে লুজন দ্বীপকে। ধুমকুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে। ঘাতক আগ্নেয়গিরির রুদ্ররূপে তটস্থ ফিলিপিন্সবাসী।

Advertisement

নামে ছোট, কিন্তু তার মধ্যেই লুকিয়ে ধ্বংসের বীজ। ফিলিপিন্সের ‘বেবি ভলক্যানো’ তাল সম্পর্কে এমনই কথা প্রচলিত সে দেশে। এর আগেও তালের মতো ক্ষুদ্র অথচ সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিজের ভয়াল রূপ দেখিয়েছে। এবারের অগ্ন্যুৎপাতও তেমনই ধ্বাংসাত্মক হতে চলেছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন ভূবিশেষজ্ঞরা। ফিলিপিন্স ইনস্টিটিউট অফ ভলক্যানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজির প্রধান রেনেতো সোলিডামের কথায়, ”খুব ছোট কিন্তু ভয়ংকর একটা আগ্নেয়গিরি।” তালকে বলা হয় ‘কমপ্লেক্স ভলক্যানো’ও। কী তার জটিলতা?

[আরও পড়ুন: মিলল ঠাকুমার অনুমতি, হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্তকে ঢোঁক গিলে সমর্থন ব্রিটিশ রাজপরিবারের]

নিউজিল্যান্ডের ক্যানটারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী বেন কেনেডি বলছেন, ”একটা বিশাল আগ্নেয়বলয়ের মধ্যে অবস্থিত এই তাল। বহুমুখ আছে। অন্তত ৪টি কুণ্ড এবং যার জেরে ৪৭টি গর্ত তৈরি হয়েছে এই আগ্নেয়গিরির চারপাশে। এমনকী এর আগে তাল থেকে ব্যাপক অগ্ন্যুৎপাতের জেরে ২৩৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি হ্রদ তৈরি হয়ে গিয়েছে, যার নাম লেক তাল। এই হ্রদের নিচেও রয়েছে আগ্নেয়গিরির মুখ। যেখান থেকে লাভা উদগীরণ শুরু হলে, তা জলের সংস্পর্শে এলে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়। সেই কারণে এই গোটা এলাকাটিকেই ‘ডেঞ্জার জোন’ বলে ঘোষণা করেছে ফিলিপিন্স ইনস্টিটিউট অফ ভলক্যানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি।” আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ মার্কিন বিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স বলছেন, ”এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। একে ‘ভলক্যানিক সুনামি’ বলা হচ্ছে। কারণ, এর লাভা নিঃসরণ হ্রদের জলে মধ্যে প্রবল আলোড়ন তুলেছে, বিস্ফোরণও হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘মোল্লাতন্ত্র নিপাত যাক’, সর্বশক্তিমান খামেনেইর বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ইরানি জনতা]

নতুন বছরের শুরুতে ফিলিপিন্সবাসীর কাছে অভিশাপ বয়ে এনেছে এই তাল আগ্নেয়গিরি। এর আশেপাশে অন্তত ১৪ কিলোমিটার বর্গ ফুট এলাকাজুড়ে অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব পড়েছে। ৪৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। অন্তত হাজার জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে বিপদ মাথায় নিয়েও রয়ে গিয়েছে এলাকায়। তাঁদের বিশ্বাস, অগ্ন্যুৎপাত পর্ব মিটে গেলে আগেরবার যেমন হ্রদ তৈরি হয়েছিল, যার জেরে ভূপ্রকৃতি পালটে গিয়েছিল, এবারও তেমন কোনও প্রাকৃতিক বদল হবে। সেই বদলের সাক্ষী থাকতে চান তাঁরা।

taal-volcano1

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement