Advertisement
Advertisement
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ফের শুরু করল সুইডেন

নথি ফাঁসের দায়ে প্রত্যর্পণ চায় আমেরিকাও।

Sweden reopens rape case against Julian Assange
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 14, 2019 10:11 am
  • Updated:May 14, 2019 10:11 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ফের ধর্ষণের মামলা শুরু করল সুইডেন। ৪৭ বছর বয়সি অ্যাসাঞ্জের বর্তমান ঠিকানা এখন লন্ডনেরই বেলমার্শ জেলখানা। এপ্রিল মাসে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর, জামিনের শর্ত ভেঙে আত্মসমর্পণ না করার জন্য ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর।

[আরও পড়ুন: সাত মাসের সন্তানকে দোকানে বিক্রি করতে এলেন বাবা! ভাইরাল ভিডিও]

Advertisement

ইতিমধ্যেই সরকারি গোপন নথি ফাঁসের জন্য তাঁকে নিজেদের দেশে প্রত্যর্পণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকা। তার উপর এবার তাঁর বিরুদ্ধে ফের ধর্ষণের মামলা শুরু করে সুইডেন জানিয়ে দিল অ্যাসাঞ্জকে সে দেশেই প্রত্যর্পণের জন্য চেষ্টা করবে তারা। সুইডেনের এই সিদ্ধান্তের পর উইকিপিডিয়ার বর্তমান প্রধান সম্পাদক ক্রিস্টিন হ্রাফনসন জানিয়েছেন, “এই মামলার ফলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করার সুযোগ পাবেন অ্যাসাঞ্জ।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা ফের শুরু করার জন্য সুইডেনের উপর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। ২০১০ সালে আগস্ট মাসে স্টকহোমে বক্তৃতা দিতে গিয়ে দুই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জের। তাঁদের মধ্যে একজন সুইডেনের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য। অ্যাসাঞ্জকে তাঁর বাড়িতে থাকার আমন্ত্রণও করেন ওই মহিলা। পরে ওই দুই মহিলার একজন অভিযোগ করেন, তাঁকে ধর্ষণ করেছেন অ্যাসাঞ্জ। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন অন্য এক মহিলাও। তবে প্রথম থেকেই তাঁদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর বক্তব্য, সম্মতি নিয়েই তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু ওই দুই মহিলার সঙ্গে কথা বলে সুইডেন পুলিশ মনে করে যে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের অভিযোগ আনা যেতে পারে।

২০১০ সালে, অ্যাসাঞ্জ সুইডেন থেকে ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয় সুইডেনের আদালত। ব্রিটেন থেকে সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে ২০১২ সালে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর বক্তব্য ছিল, একবার সুইডেনে গেলেই তাঁকে আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হতে পারে। ২০১৫ সালে সে দেশের আইন অনুযায়ী বিচারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় যৌন হেনস্তার মামলা প্রত্যাহার করে নেয় সুইডেন।

[আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাবেন আমাজন কর্ণধার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement