Advertisement
Advertisement
Ukraine

মারিওপোলে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের মৃত্যুদণ্ড!

মারিওপোলে আত্মসমর্পণ করেছে ইউক্রেনের প্রায় আড়াই হাজার সেনা।

Surrendered Ukraine Soldiers May Face Death Penalty: Pro-Moscow Official | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 31, 2022 9:14 am
  • Updated:May 31, 2022 9:14 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারিওপোলে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের দেওয়া হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কারখানায় দীর্ঘ লড়াইয়ে পর যে ইউক্রেনীয় সেনারা হাতিয়ার ফেলে দিয়েছেন তাঁদের রেয়াত করা হবে না বলেই জানিয়েছেন ডোনেৎস্কের এক রুশপন্থী বিদ্রোহী নেতা।

সোমবার পূর্ব ইউক্রেনে (Ukraine) রুশপন্থীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের আইনমন্ত্রী ইউরি সিরোভাৎকো বলেন, “সব যুদ্ধবন্দিরা আমাদের এলাকায় রয়েছে। তারমধ্যে আজভস্টলের প্রায় আড়াই হাজার ইউক্রেনীয় সেনা রয়েছে। ওদের (আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনা) বিচার আদালত করবে। কিন্তু এহেন অপরাধের জন্য আমাদের এখানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।” বলে রাখা ভাল, আজভস্টলে লড়াই করছিল ইউক্রেনীয় সেনার বিশেষ বাহিনী আজভ রেজিমেন্ট। এদেরই আবার নব্য নাৎসি ও সন্ত্রাসবাদী বলে দাগিয়ে দিয়েছে রাশিয়া (Russia)। ফলে আজভ রেজিমেন্টের সেনাদের ক্ষেত্রে জেনেভা কনভেনশন নাও মানতে পারে মস্কো।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুতিনের আয়ু আর মাত্র ৩ বছর, অন্ধ হতে বসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট! ফাঁস চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কনাশেনকোভ জানান, ১৬ মে থেকে আজভস্টাল কারখানায় লড়াই চালিয়ে যাওয়া আজভ রেজিমেন্টের ২ হাজার ৪৩৯ নাৎসি সৈনিক আত্মসমর্পণ শুরু করে। অস্ত্র ফেলে দিয়েছে ওই কারখানায় লুকিয়ে থাকা শেষ ৫৩১ জন ইউক্রেনীয় সেনা। আত্মসমর্পণ করেছে আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডারও। তাঁকে মারিওপোলের জনতার হাত থেকে বাঁচাতে একটি সামরিক গাড়িতে করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজভস্টাল কারখানার নিচে থাকা বাঙ্কারগুলি এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

উল্লেখ্য, প্রায় মাস তিনেক ধরে চলা লড়াইয়ের পর গোটা মারিওপোল শহরই এখন রুশ বাহিনীর দখলে। শুধু বন্দর শহরটির আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্রে ঘাঁটি গেড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ইউক্রেনীয় সেনার বিশেষ বাহিনী আজভ রেজিমেন্ট ও ৩৬ মেরিন ব্রিগেড। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশই নিহত ও আহত হন। পানীয় জল, খাবার ও গোলাবারুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসায় বধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ওই ইস্পাত কারখানার নিচে সোভিয়েত আমলে তৈরি সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। তাদের অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: মান্ধাতার আমলের ফোনে জায়গা হয় না, জরুরি মেসেজও মুছে ফেলেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement