Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলিশি অভিযানের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত ২ জঙ্গি

জঙ্গি ডেরায় অভিযানে যোগ দিয়েছিল পুলিশের বিশেষ টিম ও এলিট ফোর্স র‌্যাব। 

suicide bomb blast during search operation of police
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 24, 2016 8:38 pm
  • Updated:December 24, 2016 8:38 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশের মধ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে তৎপর বাংলাদেশ প্রশাসন। ঢাকার বিভিন্ন জঙ্গি ডেরাগুলিতে চলছে ঢাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। এদিকে এরই মধ্যে অভিযান চলাকালীন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাল দুই মহিলা জঙ্গি।

শনিবার শহরের একটি জঙ্গি ডেরা ঘিরে ফেলে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আর এর পরই ডেরার ভিতর থেকে মুক্তি চেয়ে বেশকিছু চিরকুট পাঠায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের দাবি, তাদের বিনা বাধায় ছেড়ে দিতে হবে। আইনের আওতায় আনা যাবে না। চিরকুটের মাধ্যমেই ডেরায় কতজন জঙ্গি আছে ও কি কি আছে তা জানা যায়। জবাবে পুলিশের তরফে হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। এরপর বেলা ১১ টা নাগাদ দুই মহিলা ও দুই শিশু আত্মসমর্পন করে।

Advertisement

অভিযানে কর্তব্যরত পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহিবুল হক জানান, আত্মসমর্পণকারী দুই মহিলা জঙ্গির মধ্য তৃষ্ণা বলে মহিলাই প্রথমে আত্মসমর্পণে রাজি হয়। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে আত্মসমপর্ণের নামে ডেরা থেকে বেড়িয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় এক মহিলা জঙ্গি। কোমরে থাকা বোমার সুইচ টিপে বিস্ফোরণ ঘটায় সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার, তার সঙ্গে থাকা জখম শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে মৃত ওই মহিলা, জঙ্গি  সুমনের স্ত্রী। তার সঙ্গে আত্মঘাতী হয় ১৪ বছর বয়সী অফিফ কাদরি।

এবিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, জঙ্গিদের ডেরায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর গ্রেনেড ও বোমা উদ্ধার হয়। বিভিন্ন বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল সেখানে কাজ করছে বলে জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে দক্ষিণখানা থানার পূর্ব আশকোনার জঙ্গি ডেরায় অভিযান শেষ হওয়ার পর সেখানে ফের বিস্ফোরণের কথা জানান আসাদুজ্জামান। বিস্ফোরণে জখম শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি।

ঢাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মহম্মদ সানোয়ার হোসেন জানান,  অভিযানের সময় জঙ্গি সুমনের স্ত্রী ও জঙ্গি তনভির কাদেরের ছেলেকে বারবার আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়েছিল। তারা রাজি হয়নি। পরে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সেসময় ওই দুইজন গ্রেনেড দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়। পুলিশের এই অভিযানে নিহত মোট ৪ জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে সাবেক মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা, তাঁর মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তাঁর মেয়ে। শনিবার এই জঙ্গি ডেরায় অভিযানে যোগ দিয়েছিল পুলিশের বিশেষ টিম ও এলিট ফোর্স র‌্যাব।

এর আগে গুলশান আর্টিজান ক্যাফেতে হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের একটি বাড়িতে অভিযানের সময়  আত্মহত্যা করে তনভির কাদেরি নামে আরও এক জঙ্গি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement