সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাবতীয় আশঙ্কা সত্যি করে ধ্বংস হয়ে গেল সাবমেরিন টাইটান (Titan Submarine)। বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে তার মতোই পরিণতি হল সাবমেরিনের। মার্কিন নৌসেনা (USA Cost Guard) সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের তলায় ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবমেরিনটি ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয়েছে সাবমেরিনে থাকা পাঁচজনের। মার্কিন সময় বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পাওয়া যায় সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। প্রসঙ্গত, গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সাবমেরিন টাইটান।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মার্কিন নৌসেনা জানায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের খুব কাছেই ভেঙে পড়েছে সাবমেরিন টাইটান। সমুদ্রের ১২ হাজার ফুট গভীরে সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায় রোবট। পাঁচ অভিযাত্রীর বেঁচে থাকার কোনও আশা নেই, সাফ জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন নৌসেনা। ফলে উদ্ধারকারীদের অধিকাংশকেই সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে জলের তলায় কীভাবে সাবমেরিনটি ভেঙে পড়ল তা নিয়ে তদন্ত চলবে।
তবে এই বিপর্যয় নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠ আসেছে নানা মহলে। রবিবার পাঁচ অভিযাত্রীকে নিয়ে জলের তলায় ডুব দিয়েছিল টাইটান। সব মিলিয়ে সাত ঘণ্টার মধ্যেই জলের তলদেশ থেকে ফিরে আসার কথা ছিল সাবমেরিনটির। কিন্তু জলে ডোবার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই সাবমেরিনের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও টাইটান ডুবে যাওয়ার প্রায় আট ঘণ্টা পরে উদ্ধারকাজ শুরু করে মার্কিন নৌবাহিনী। কেন এত দেরিতে উদ্ধারকাজ শুরু হল তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
সাবমেরিনের ভিতরে মৃত অভিযাত্রীদের দেহ আদৌ পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। মার্কিন নৌসেনার মতে, প্রতিকূল আবহাওয়া সামলে মৃতদেহ উদ্ধার করা কার্যত অসম্ভব। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাক ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর পুত্র সুলেমান, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং ও পল-হেনরি নারগিওলে। এছাড়াও এই অভিযানের আয়োজক সংস্থা ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশেরও মৃত্যু হয়েছে টাইটান সাবমেরিনে। সন্ধান মিললেও কবে এই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ হাতে মিলবে, সেই উত্তর এখনও অধরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.