সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন মুখের কথা নয়। কঠিন বিষয়ে গবেষণায় কালঘাম ছুটে যায় গবেষক পড়ুয়ার। বিরাট সংখ্যক গবেষণালব্ধ পত্র বা পেপার ছাপাই-বাঁধাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে পেশ করাও কম পরিশ্রমের ও অর্থ ব্যয়ের বিষয় নয়। দিনের শেষে যদি দেখা যায় তা পড়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস্টবিনে, পড়ুয়ার জন্য তার চেয়ে দুঃখের কিছু হতে পারে না। যদিও সম্প্রতি তেমন অভিযোগই উঠেছে কানাডার (Canada) আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিছনে একটি ডাস্টবিনে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য পিএইচ ডি থিসিস অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। যার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়।
ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান নামের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিতর্কিত ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে, একটি বড়সড় ডাস্টবিনের মধ্যে পড়ে রয়েছে অসংখ্য লাল রঙের মোটা মোটা বই। পিজিয়ানের দাবি, কানাডার এডমন্টন শহরে অবস্থিত আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে একটি ডাস্টবিনের ছবি এটি। এবং লাল রঙে বাঁধাই স্বাস্থ্যবান বইগুলি আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়া থিসিস পেপার। যা তৈরি করতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল পড়ুয়াদের, সেগুলিকেই ওভাবে অবহেলায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
Walking home from my lecture tonight, I noticed a whole dumpster full of finely bound theses and dissertations behind the @UAlberta Education Centre. Not even being recycled, just going to the landfill. Can’t help but feel this oddly sums up the state of a modern education. pic.twitter.com/cT8QjwFsCP
— caffienated_pigeon (@Jeffs_behaviour) May 19, 2023
ছবির ক্যাপশানে ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান লিখেছেন, “রাতে একটি লেকচার শেষে ফিরছিলাম। চোখে পড়ল আলবার্টা এডুকেশন সেন্টারের পিছনে একটি ডাস্টবিন। যা ভরতি হয়ে রয়েছে অসংখ্য থিসিস পেপারে। এই দৃশ্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার খারাপ হালকেই চিহ্নিত করে।” এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “থিসিস পেপার ছাপায় প্রচুর খরচ, এখনও মনে আছে। ক’দিন আগে আমার সুপাভাইজারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, আমার পিএইচডি থিসিস পেপার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভাবত বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়ে ফেলেছে। আমার কাছে অবশ্য পিডিএফ আছে।” কতকটা একই ধনরে ভাষায় একাধিক নেটিজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাণ্ডে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। যদিও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.