সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামের (Islam) অবমাননা করছেন শিক্ষিকা, এমনই স্বপ্ন দেখেছিল ছাত্রী। আর সেই স্বপ্নের জেরে প্রাণ গেল শিক্ষিকার। পাকিস্তানে (Pakistan) সতীর্থ এবং দুই ছাত্রী মিলে কুপিয়ে খুন করল শিক্ষিকাকে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্বপ্ন দেখা পড়ুয়াকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের (Afghanistan-Pakistan Border) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান এলাকার এক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সফুরা বিবি। অভিযোগ তাঁর এক ১৩ বছরের ছাত্রী স্বপ্নে দেখে, ইসলামকে অবমাননা করছেন তার শিক্ষিকা। এমনকী, সফুরা বিবিকে হত্যার স্বপ্নাদেশও পায় সে। এর পরই সফুরা বিবির এক সতীর্থ এবং দুই পড়ুয়া মিলে হামলা চালায়। অভিযোগ, ধর্মের বিষয় নিয়ে সফুরার সঙ্গে তাঁদের বিরোধ বেঁধেছিল। তার পর স্কুলের গেটেই সফুরাকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যে শিক্ষিকা অভিযুক্ত উমরা আমন (২৪), রাজিয়া হানফি (২১) এবং আয়শা নোমনি (১৭)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনের অস্ত্রও। যে ১৩ বছরের ছাত্রী স্বপ্ন দেখেছিল সে আবার মৃতার ছাত্রীও। তাকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সে কী স্বপ্ন দেখেছিল, সেটাও বিস্তারিতভাবে নথিবদ্ধ করেছে পুলিশ। তবে ইসলামের অবমাননায় খুন পাকিস্তানে নতুন কিছু নয়। কিন্তু স্বপ্নাদেশের জেরে খুন, নিসন্দেহে নতুন ঘটনা। এর জেরে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তুমুল নিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায়।
Perpetrators & victim are all deobandi. Don’t know of a previous incident in which Pk women killed another woman over #blasphemy to allegedly settle a personal score. Horrifying that these young women thought they could get away w/ what appears to be a premeditated murder.
— Rabia Mehmood – رابعہ (@Rabail26) March 29, 2022
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ইসলাম অবমাননার দায়ে চার সন্তানের জননী আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে ওই আইনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারপরই বিশ্বজুড়ে ওঠে তীব্র প্রতিবাদের ঝড়। অবশেষে চাপে পড়ে ২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ড থেকে তাঁকে রেহাই দেয় পাক সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করে মৌলবাদী সংগঠনগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.