সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১০০ বছরের মধ্যে মানুষকে এই পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোনও বাসস্থান খুঁজে নিতে হবে। মানবজাতির উদ্দেশে এই সতর্কবার্তাই শোনালেন বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। বিবিসির ‘টুমরো ওয়ার্ল্ড’ সায়েন্স সেশনের এক ডকুমেন্টারিতে এই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন হকিং।
পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন কি না, সেই বিষয়ে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক। এর আগে অবশ্য তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অন্তত ১০০০ বছরের আগে মানুষকে বিকল্প বাসস্থান খুঁজতে হবে না। কিন্তু এবার বিবিসির ওয়েবসাইটে তাঁর যে বক্তব্য পোস্ট হয়েছে, সেখানে স্টিফেন হকিংয়ের ‘কম্পিউটার’ মস্তিষ্ক মানবজাতিকে ডেডলাইন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, “আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে আদতে পৃথিবীরই কল্যাণ। জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তন, গ্রহাণু আছড়ে পড়া, মহামারী ও বিস্ফোরক হারে জনসংখ্যার বৃদ্ধির জন্যই এই আশঙ্কা।”
‘এক্সপিডিশান নিউ আর্থ’ নামের তথ্যচিত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল জর্জ ও হকিংয়েরই প্রাক্তন ছাত্র খ্রিস্টোফে গ্যালফার্ডকে হকিং অনুরোধ করেছেন, মানুষ কী করে ও কী ভাবে অন্য কোনও গ্রহে বসবাস করতে পারে সেটা অবিলম্বে খতিয়ে দেখতে। এই তথ্যচিত্রের লক্ষ্যই হল মানুষকে বিকল্প বাসস্থানের খোঁজ করতে হবে কি না, সেটা আরও একবার হকিংয়ের মতো একজন বৈজ্ঞানিকের কাছ থেকে যাচাই করে নেওয়া। জীববিদ্যা থেকে শুরু করে রকেট টেকনোলজি- এই তথ্যচিত্রের সিরিজে সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখবেন হকিং।
দুরারোগ্য এএলএস-এ আক্রান্ত এই মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ বর্তমানে প্রায় সম্পূর্ণ পঙ্গু। তাঁর কথা বলার ক্ষমতাও নেই। ভয়েস প্রডিউসিং কম্পিউটারের সাহায্যে তিনি কথোপকথন চালান। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বর্তমানে মানবজাতির জন্য ‘প্ল্যানেট-বি’র খোঁজ সংক্রান্ত গবেষণায় মগ্ন হকিং। চাঁদে গিয়ে বাসস্থান তৈরি করতেও সুপারিশ করেছেন হকিং, অথবা মঙ্গলে। কারণ, তাঁর বক্তব্য, অবিলম্বে পৃথিবীর বাইরে বিকল্প বাসস্থান তৈরি করতে না পারলে মানুষের অস্তিত্বই মুছে যাবে। গতবছরের নভেম্বরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে হকিং বলেন, “মানবজাতির ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের মহাবিশ্বে পৌঁছতে হবে…হবেই।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.