Advertisement
Advertisement
china

দেশজুড়ে চলছে যৌন নির্যাতন, খবর করছে না চিনের গণমাধ্যম, সরব নাগরিকরা

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে তোপ চিনা নাগরিকদের।

state media failure to report sex abuses slams Chinese social media users | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 8, 2021 3:50 pm
  • Updated:December 8, 2021 3:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমগুলিকে চিন সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে, চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি (Chinese Communist Party) যা বলছে তাই হচ্ছে, সে দেশের বাড়তে থাকা যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে এভাবেই চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় (Chinese Social Media) গর্জে উঠল সে দেশের নাগরিকদের একাংশ। এক কুখ্যাত অপরাধীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমন অভিযোগে সরব হয়েছেন নাগরিকরা। অভিযোগ, বর্তমানে জেলবন্দি ওই অপরাধী দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের ধর্ষণ করে তাঁদের পতিতালয়ে জোর করে আটকে রাখত, অথচ এই বিষয়ে কখনই খবর করেনি চিনের সংবাদ মাধ্যমগুলি (Chinese Media)।

সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংহাইয়ের (Shanghai) বাসিন্দা ওই অপরাধী বহু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে সেই মেয়েদেরই একটি পতিতালয়ে বন্দি করে রাখত। ধনীরা মোটা অর্থের বিনিময়ে ওই মেয়েদের ভোগ করত। ওই অপরাধীর নাম জহো ফুকিয়াং। অসহায় গরিব গ্রামের মেয়েদের সে টার্গেট করত। প্রথমে জোর করে পতিতালয়ে ঢোকাত। যদিও ওই পতিতালয়টিকে জনসমক্ষে সেলুন বলে চালাত সে। এরপরই ধনী পুরুষদের কাছে ওই মেয়েদের বিক্রি করে দিত সে। উল্লেখ্য, অপরাধী জহোকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ধর্ষণ ও অন্য অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছেিল। পরে তার মৃত্যুদণ্ড রদ হয়ে যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে পুতিনকে কড়া হুঁশিয়ারি বাইডেনের, সংঘাতের পথে দুই মহাশক্তি]

চিনা নাগরিকরা সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন, এমন মারাত্মক অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে ভেবেচেন্তেই খবর করেনি সরকার নিয়ন্ত্রিত অধিকাংশ চিনা মিডিয়া। এক নাগরিক লেখেন, “সাংহাইতে যে অন্যায় হচ্ছে তা নিয়ে খবর নেই, আপনারা কেবল আমেরিকা আর ইংল্যান্ড নিয়ে আস্ফালন করে চলেছেন।” একজন লিখেছেন, “দেশটা (চিন) ক্রমশ নর্থ কোরিয়া হয়ে উঠছে। আপনারা আমাদের বোকা ভাবছেন!”

[আরও পড়ুন: আর শুক্রবার নয়, এবার ছুটি মিলবে রবিবার, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আমিরশাহির]

নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন লিখেছেন, “আমি সত্যিই মনে করি, আমাদের সভ্য, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন হতে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement