সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, জীবনে একবারই বিয়ে হয়। তাই নিজের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা অভিনব কাণ্ড-কারখানা করেন নবদম্পতিরা। সেভাবেই বিয়ের দিন সকলের নজর কাড়তে চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার এক দম্পতি। কিন্তু, ওই দম্পতি যা করেছেন, তা নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে দ্বীপরাষ্ট্রে। শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল চাইল্ড প্রোটেকশন অথরিটি বা NCPA।
[‘পুরুষদের বুদ্ধির সিকিভাগও নেই, গাড়ি চালানো উচিত নয় মহিলাদের’]
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্যান্ডিতে বিয়ে করেন ওই দম্পতি। বিয়ের দিন ৩.২ কিমি লম্বা শাড়ি পরেছিলেন পাত্রী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর আগে শ্রীলঙ্কায় আর কোনও পাত্রীকে এত লম্বা শাড়ি পরে বিয়ে করতে দেখা যায়নি। কিন্তু, বিতর্ক দানা বেধেছে অন্যত্র। বিয়ের দিন পাত্রীর শাড়ি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের প্রায় আড়াইশো পড়ুয়াকে নিয়োগ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে পাত্রী যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন ওই আড়াইশো জন পড়ুয়াকে শাড়ি বয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। সবচেয়ে বড় কথা, বিয়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যান্ডি সেন্ট্রাল প্রভিন্সের এক মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল চাইল্ড প্রোটেকশন অথরিটি বা NCPA। সংস্থার চেয়ারম্যান মারিনি জি লিভেরা জানিয়েছেন, তদন্তে কোনও খামতি রাখা হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবেই। কারণ, তাঁরা চান না, এই ধরনের ঘটনা রেওয়াজে পরিণত হোক। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলের সময় পড়ুয়াদের দিয়ে এই ধরনের কাজ করানো শান্তিযোগ্য অপরাধ। দোষীদের ১০ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে।
[খাঁচায় ভিতর থেকেই আমাজনে অর্ডার দিয়ে ফেলল এই খুদে টিয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.