Advertisement
Advertisement

শ্রীলঙ্কায় কি ফিরতে চলেছে রক্তাক্ত তামিল বিদ্রোহের দিনগুলি?

জাফনা-কিলিনোচিতে রাজাপক্ষের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারের ছাপ আজও স্পষ্ট।

Sri Lanka towards turmoil
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 16, 2018 9:54 am
  • Updated:November 16, 2018 9:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ সংকটজনক হয়ে উঠছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরেই অস্থির হয়ে রয়েছে। শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব সবসময়ই ভারতকে বিচলিত করে রেখেছে। শ্রীলঙ্কা থেকে তামিলনাড়ুর স্থলভাগের দূরত্ব বেশি নয়। ফলে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে ঢেউ উঠলে তা এসে আছড়ে পড়ে তামিলনাড়ুর উপকূলে। ধেয়ে আসে তামিলভাষী উদ্বাস্তুদের স্রোত। শ্রীলঙ্কার রাজনীতির এই অস্থিরতার মূল্য ভারতকে নানাভাবে চোকাতে হয়।

[তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’, ঘরছাড়া ৭৬ হাজার মানুষ]

Advertisement

তামিলনাড়ুর মাটিতেই ’৯১ সালে খুন হতে হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঘটনাবলিকে কখনওই ভারত উপেক্ষা করতে পারে না। গত কয়েক দিনে শ্রীলঙ্কার রাজনীতির পট পরিবর্তন ঘটছে খুব নাটকীয়ভাবে। গোটা পরিস্থিতি যে ভারতের পক্ষে ‘অনুকূল’ এমন কথা বলার সুযোগ নেই। মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কার জনতা মৈত্রীপালা সিরিসেনাকে প্রেসিডেন্টের পদে বসিয়েছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন রনিল বিক্রমসিংঘে। রাজাপক্ষের পরিচয় একদিকে যেমন চিনের ঘনিষ্ঠ হিসাবে, অন্যদিকে তামিল বিরোধী হিসাবেও। ফলে রাজাপক্ষের সরে যাওয়া ভারতের কাছে সবসময় প্রতিবেশী দেশের একটি ইতিবাচক ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সিরিসেনা ও রাজাপক্ষে ছিলেন একই দলের। রাজাপক্ষেকে হারিয়ে সিরিসেনা গঠন করেছিলেন ঐক্যের সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন রনিল বিক্রমসিংঘে। রাজাপক্ষের চিন-ঘনিষ্ঠতার বিপ্রতীপে বিক্রমসিংঘের ভারত-প্রেম সুবিদিত। কিন্তু হঠাৎই নাটকীয় পরিবর্তন এল শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে। সিরিসেনা অভিযোগ তুললেন, ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর সাহায্য নিয়ে বিক্রমসিংঘে তাঁকে হত্যার ছক কষছেন। ঘটনাচক্রে তার আগেই বিক্রমসিংঘে ভারত সফর করে গিয়েছেন। বিক্রমসিংঘের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দিলেন সিরিসেনা। যে রাজাপক্ষে দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনি বসলেন গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। নাটক এখানেই শেষ হল না। সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ফের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে চ্যুত হয়েছেন রাজাপক্ষে। দেশের আইনসভাতেও তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারেননি। আইনসভার অধ্যক্ষ আবার বিক্রমসিংঘের পক্ষে। অধ্যক্ষের উদ্যোগে আইনসভায় আস্থা প্রস্তাব এনে তাতে ধ্বনি ভোটে জয়ী হয়ে গিয়েছেন বিক্রমসিংঘে।

শেষ পর্যন্ত এই নাটক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা আরও কয়েক দিন বাদে স্পষ্ট হবে। কারণ শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট তাদের চূড়ান্ত রায় দেবে আগামী ৭ ডিসেম্বর। কিন্তু, এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রে যদি ফের বিদ্রোহ মাথাচাড়া দেয়, তা ভারতের পক্ষে চিন্তার হবে। যদি ফের ভারতের উপকূলে তামিল উদ্বাস্তুদের ঢেউ এসে পড়ে সেটাও চিন্তার। এমনিতেও শ্রীলঙ্কার তামিলরা আজও এলটিটিই প্রধান প্রভাকরণের মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। এখনও ধিকিয় ধিকি জ্বলছে আগুন। পাশাপাশি জাফনা-কিলিনোচিতে রাজাপক্ষের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারের ছাপ আজও স্পষ্ট।

[জেহাদি রাডারে আরএসএস শাখা, উত্তর ভারতে সক্রিয় জঙ্গি মুসা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement