Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sri Lanka President Ranil Wickremesinghe

‘আমার নিজস্ব বাড়ি নেই’! প্রতিবাদীদের ‘গো হোম’ স্লোগানের জবাবে মন্তব্য বিক্রমসিংহের

নতুন করে বাড়ি বানিয়ে দিতে প্রতিবাদীদের অনুরোধ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।

Sri Lanka President Ranil Wickremesinghe says he has no home, amidst go home slogan from protesters | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 1, 2022 1:22 pm
  • Updated:August 1, 2022 1:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজস্ব বাড়ি নেই তাঁর। ফুটতে থাকা দেশের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে  এমনটাই জানালেন শ্রীলঙ্কার সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। মানুষের প্রতিবাদের স্লোগান ছিল, ‘গো হোম।’ সেই স্লোগানকে কটাক্ষ করে রবিবার এমনই মন্তব্য করে বসলেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাঁকে বাড়ি যেতে বলে কোনও লাভ নেই। কারণ তাঁর নিজের বাড়ি নেই যেখানে তিনি ফিরে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, রবিবার রনিল বিক্রমসিংহে আরও জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে লঙ্কাবাসী।

বিদেশি ঋণের বোঝায় দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পরে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন দ্বীপরাষ্ট্রের (Sri Lanka Protest) বাসিন্দারা। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে (Gotabaya Rajapaksa) গদি থেকে সরানোর জন্য “গোতা গো হোম” স্লোগান তোলেন প্রতিবাদীরা। মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করার পরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করা হয় বিক্রমসিংহেকে। কিন্তু প্রতিবাদীদের নিশানায় পড়েন তিনিও। ৯ জুলাই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদীরা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: কঙ্গোয় শান্তিরক্ষা বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই সাধারণ নাগরিক, ঘটনায় কড়া বার্তা রাষ্ট্রসংঘের]

সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বিক্রমসিংহে বলেছেন, “আমি সকলকে অনুরোধ করছি, আমাকে বাড়ি যেতে বলবেন না। আমার কোনও বাড়ি নেই যেখানে আমি ফিরে যেতে পারবো। যার নিজের বাড়ি নেই, সেরকম একজন মানুষকে বাড়ি যেতে বলা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়।” দ্বীপরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, নিজের বাড়ি বানিয়ে দিতে প্রতিবাদীদের অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, বিক্রমসিংহে বলেছেন, হয় দেশকে গড়ে তুলুন নয়তো আমার বাড়ি আবার নতুন করে বানিয়ে দিন।

দ্বীপরাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী। তার পরেও দেশের অবস্থার একবিন্দুও উন্নতি হয়নি। সেজন্য দেশের মানুষকেই দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট। দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ফলেই আইএমএফের সঙ্গে একটি চুক্তি করা সম্ভব হচ্ছে না, এমনটাই জানিয়েছেন রনিল। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, দেশের দুরাবস্থার জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে দায়ী করে লাভ নেই। এখন দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে যেন বিদেশি ঋণ শোধ করে দেশকে বাঁচানো যায়।

[আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে রং বদল, সবুজ বাদ দিয়ে এবার স্বচ্ছ সাদা বোতলে মিলবে স্প্রাইট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement