Advertisement
Advertisement
Sri Lanka

Sri Lanka: বিদ্রোহ রুখতে মরিয়া রাজাপক্ষে, জরুরি অবস্থা-কারফিউর পর শ্রীলঙ্কায় বন্ধ সোশ্যাল মিডিয়াও

সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীর।

Sri Lanka now blocks social media like Facebook, WhatsApp
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 3, 2022 12:33 pm
  • Updated:April 3, 2022 3:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) গণবিক্ষোভ দমন করতে মরিয়া রাজাপক্ষে সরকার। জনতার কণ্ঠরোধ করতে আগেই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কার্যকর হয়েছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ (Curfew)। এবার কোপ পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। বন্ধ করে দেওয়া হল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামও। শনিবার গভীর রাত থেকে সে দেশে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চরমে উঠেছে শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুর্দশা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগানে টান পড়েছে। কাগজের অভাবে বন্ধ পরীক্ষা, সংবাদপত্র প্রকাশ। নেই খাবার, ওষুধ, পেট্রল-ডিজেল। এমন পরিস্থিতির জন্য শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষকেই দায়ী করেছে আমজনতা। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রান্ত। রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনেও চলছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া রাজাপক্ষে। আর তাই দেশবাসীর একের পর এক অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার ১৬ কেজি হেরোইন! গ্রেপ্তার তিন বিদেশি যাত্রী]

বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটির বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এবার জমায়েত বন্ধ করতে, যোগাযোগ-মত বিনিময় আটকাতে এবার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করা হল। রাজাপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সে দেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নমল রাজাপক্ষে। তিনি আবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পুত্র। টুইটারে নমল রাজাপক্ষে লিখেছেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না। সকলেই ভিপিএন ব্যবহার করতে জানেন। তাই সেই ভিপিএন ব্যবহার করে সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পৌঁছে যেতে পারবে সকলে। যেমন আমি করছি। তাই সরকারের কাছে আমার আরজি, অন্য কোনও পথ ভাবুন। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।”

 

উল্লেখ্য, গত সাত দশকে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। বিদ্যুতের অভাবে ব্ল্যাক আউট চলছে দেশে। এমনকী মিলছে না প্রতিদিনের প্রয়োজনের রান্নার গ্যাস। আগেও ক্ষুব্ধ নাগরিকদের কলম্বোর প্রধান সড়ক অবরোধ করতে দেখা গিয়েছে। অবরোধকারীদের বক্তব্য, রান্নার গ্যাসের অভাবে তাঁরা কেরোসিন তেল সংগ্রহ করতে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু তাও পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে অস্ত্রহীন সেনা মোতায়েন করে লঙ্কা সরকার।

[আরও পড়ুন: তপন কান্দু হত্যা: দুই ‘ভাড়াটে খুনি’কে ধরতে ভিনরাজ্যে পুরুলিয়া পুলিশের দুই দল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement