সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ কমতে কমতে মাত্র ৫০ কোটি ডলারে এসে ঠেকেছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন বন্ধ করল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সরকার। একাধিক দেশ থেকে ঋণ নিয়ে প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র। ঋণ মকুবের পরিকাঠামো নিয়ে একমত হতে পারেনি চিন (China) ও আইএমএফ (IMF)। এহেন পরিস্থিতিতে একেবারেই খরচের পথে হাঁটতে চাইছে না রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের সরকার।
আগামী ৯ মার্চ শ্রীলঙ্কায় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটের আগেই সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে এই নির্বাচন। কারণ যেটুকু বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার রয়েছে দেশে, সেটা শুধুমাত্র জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এই মুহূর্তে নির্বাচন আয়োজন করার আর্থিক সামর্থ্য নেই দেশের। তবে আগামী ৩ মার্চ নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে।
তবে এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলি। প্রধান বিরোধী দল সমাগি জন বালওয়াগেয়ার তরফে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে নির্বাচনের জন্য আর্থিক বরাদ্দ খারিজ করছে বিক্রমাসিঙ্ঘের সরকার। কারণ এই নির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় অনিবার্য। এই কারণেই দেশের শীর্ষ আধিকারিক ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে।
গত বছর মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কার এই স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মোট ৩৪০টি আসনে নয়া জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়া হবে এই নির্বাচনে। কিন্তু গত বছরেও আর্থিক দুরাবস্থার কারণেই স্থগিত করে দেওয়া হয় ভোট প্রক্রিয়া। তারপরে তীব্র ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্রটি। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় থাকলেও দেশের আর্থিক দুর্দশার একবিন্দুও শুধরায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.