Photo Courtesy: AFP
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রনের (Omicron) নতুন ভ্যারিয়েন্টে কাঁপছে চিন (China)। ইতিমধ্যে দেশের ১৩টি শহরের ৩০ কোটি মানুষকে লকডাউনের আওতায় এনেছে বেজিং। পরিস্থিতি আরও বেশি উদ্বেগজনক দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea)। বুধবার সেখানে নতুন করে ৪ লক্ষের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত দু’বছরের মহামারী পরিস্থিতিতে রেকর্ড। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও পিছনে পড়ে গিয়েছে পুরনো পরিসংখ্যান।
কোভিডের (Covid 19) তৃতীয় ঢেউ ভারত ডিঙিয়েছে সম্প্রতি। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে। দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ৭৪১ জন। এর আগে ২০২১ সালে জানুয়ারিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা তা ছাপিয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও বুধবার মহামারীর ভয়ংকরতম রূপের সাক্ষী হয়েছে দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ২৯৩ জনের।
চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কোভিড সংক্রমণ ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে মূলত ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে। ওমিক্রন BA.2 সহজে ধরা পড়ছে না। সমস্যা হল এর লক্ষণগুলি এখনও পরিষ্কার নয়। হালে চিনে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা এই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে সংক্রমণ শুরুতে বোঝা যাচ্ছে না। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও বিষয়টা সম্ভবত এক। এমনটাই ধারণা বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই চিনের লক্ষ্য ছিল, কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করে দেশকে ‘কোভিড-শূন্য’ করা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রমশ নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে সেই সংকল্প। মঙ্গলবার চিনে ৫২৮০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুধবার সংক্রমণ কিছুটা কমে হয়েছে ৩২৯০। রবিবার থেকেই বিধিনিষেধের জালে কার্যত গৃহবন্দি বেজিংয়ের ১৭ কোটি মানুষ। কোভিডে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে ঝিলানেও। হুড়মুড় করে সংক্রমণ বাড়ছে চাংচুন শহরে। শহরের শপিংমলে, অফিসে, কলকারখানায় তালা ঝুলছে। অন্যদিকে সাংহাইয়ের নাগরিকদের কঠিন বিধিনিষেধের জালে বেঁধে ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই বাইরে বেরোনোর অনুমতি মিলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.