সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে বড়সড় কূটনৈতিক ধাক্কা খেল রাশিয়া। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় জোরালো হচ্ছে রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রেপ্তারির দাবি। দেশটির প্রধান বিরোধী দলের সাফ কথা, ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে এলে পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠী (BRICS)। এবছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জোটের সম্মেলন। চলবে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথামাফিক, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পুতিনকে। এতেই ঘনিয়েছে বিতর্ক। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, পুতিনের প্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’। তাদের সাফ কথা, ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে এলে পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। গত মঙ্গলবার দলটি জানিয়েছে যে সরকার যাতে রুশ প্রেসিডেন্টকে আটক করে তা নিশ্চিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেন যুদ্ধে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই মামলায় গত মার্চ মাসে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, আদপে কি গ্রেপ্তার করা যাবে পুতিনকে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন কোনও দেশই আইসিসির সদস্য নয়। তবে আইসিসির অন্তর্ভুক্ত ১২৪টি দেশের যে কোনও দেশে পুতিন গেলেই তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। খাতায় কলমে তেমন সম্ভাবনা নিশ্চয়ই রয়েছে। এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও আইসিসি সদস্য। কিন্তু আইসিসির নিজস্ব কোনও পুলিশ বাহিনী না থাকায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে সেই দেশগুলির পুলিশকেই। যা সচরাচর দেখা যায় না। পুতিন একটি রাষ্ট্রের প্রধান। কূটনৈতিক দিক দিয়ে দেখলে তিনি কোনও দেশে এলে তাঁকে সেই দেশের পুলিশের পক্ষে গ্রেপ্তার করা তাই কার্যত অসম্ভব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.