সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে রাতারাতি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কোনও পরিষেবা দেওয়ার চিকিৎসক নেই। কারণ, ভয়ানক করোনা ভাইরাসের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না খোদ স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
চিনের স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ১৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী। যে কারণে খানিকটা থমকে গিয়েছে পরিষেবা। এই প্রথম সরকারিভাবে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা জানাল চিন। দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন শুক্রবার জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ১৭১৬। এঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। আর এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরই ভয়ঙ্কর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে চিনের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মহলে। আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বেগ বেড়েছে জিনপিং প্রশাসনেরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘হোটেল থেকে শুরু করে কনভেনশন সেন্টার। সব কিছুই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। তা-ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’’
তথ্য বলছে, শুক্রবারও চিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। যার মধ্যে ১১৬ জনই ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশের। সব মিলিয়ে মারণ ভাইরাসের থাবায় শুধু চিনেই মৃতের সংখ্যা ১৫০০। নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৪৮২৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার ৯৮৬। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভাইরাসের প্রকোপ। সব মিলিয়ে চিনের সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্বেই উদ্বেগ বাড়ছে। সংকট তৈরি হয়েছে চিনের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। যে হুবেই প্রদেশে ভাইরাসের থাবা সবচেয়ে বেশি, সেখানে দিন-রাত এক করে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা। মুখোশ, গ্লাভস, পোশাক ও নিরাপদ চশমার সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
চিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দিনে একবার খাচ্ছেন। কারণ, হাসপাতালে বারবার পোশাক, গ্লাভস, মুখোশ খুলে খাওয়াদাওয়ার সময় সংক্রমণ হতে পারে। তার মধ্যেই শুক্রবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেং ইক্সিন বলেন, ‘‘আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ১১০২ জনই হুবেই প্রদেশের। মোট আক্রান্তের ৩.৮ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। মৃত্যুর হার ০.৪ শতাংশ। তবে তাঁদের সংক্রমণ হাসপাতাল থেকে নাকি সাধারণভাবেই হয়েছে, তা এখনও তদন্ত ও গবেষণার বিষয়।’’ দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.