সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুথপিক দিয়ে দাঁত খোঁচানো কম-বেশি অনেকের রয়েছে বদভ্যাস। এক বৃদ্ধের এটা বহুকালের ব্যারাম। পুরনো অভ্যাসে ভুল করে বাসের সিটে তিনি টুথপিক গেঁথে ফেলেছিলেন। তবে দেশটার নাম যে সিঙ্গাপুর। অতএব রক্ষে নেই। সিসিটিভি ফুটেজে অপরাধী শনাক্ত হয়ে যায়। এরপর শুধু দুর্গতি। বুড়ো বয়সে হাজতবাস হতে পারে লঘু পাপধারীর। হবে মোটা আর্থিক জরিমানা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে অপরাধের ঘটনা কালেভদ্রে ঘটে। সম্প্রতি একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় দশ বছরে একবার ঘটল। যে দেশের অপরাধের এমন পরিসংখ্যান সেখানে লোকজন কিছু ভুল করতে গেলে কয়েকবার ভাবেন। সিগারেট অনেক দূরের কথা চুইংগাম চেবানো নিষিদ্ধ। সিঙ্গাপুর সরকার এখানে থামতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য অপরাধ কম হতে পারে, তবে সেটা তো শূন্যে পৌঁছয়নি। প্রশাসনের এই মনোভাবে প্রভাবিত সাধারণ মানুষও। তাই কেন গণ্ডগোল করে ফেললে পুলিশের আগেই সাধারণ মানুষ খবর পৌঁছে দেন। আর এই সক্রিয়তার জন্য এক বৃদ্ধ রীতিমতো ফেঁসে গিয়েছেন। সেদেশের একটি বাসে উঠে দাঁত খুচোচ্ছিলেন মানুষটি। টুথপিক নিয়ে বেরোনোর পুরনো অভ্যাসে বাসের মধ্যে এই কম্মটি তিনি সারছিলেন। তবে এর পর গোল বাঁধিয়ে ফেলেন। কোনও কারণে ওই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ তিনখানা টুথপিকি বাসের সিটে গেঁথে দিয়ে আসেন। এক যাত্রীর চোখে পড়ে বিষয়টি। সিটের মধ্যে গাঁথা পিকের ছবি তুলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। দ্রুত যা ভাইরাল হয়ে যায়। নালিশ যায় পুলিশের কাছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা আসামিকে খুঁজে ফেলে। বাসের সিটে টুথপিক গেঁথে রাখার ঘটনায় সম্পত্তি অনিষ্টের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।
দুনিয়ায় সিঙ্গাপুরে অপরাধের হার সবচেয়ে কম। পান থেক চুন খসলেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। টুথপিক কাণ্ডে অপরাধ প্রমাণিত হলে ওই বাসযাত্রীকে শ্রীঘরে যেতে হবে। হতে পারে দুবছরের জেল। সিঙ্গাপুর পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ২০১৫ সালে মেট্রো রেলে স্প্রের মাধ্যমে রং করার জন্য জার্মানির দুই তরুণকে নয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল সিঙ্গাপুর আদালত। গত বছরে একজন ধূমপান করে সিগারেটের একাংশ বাইরে ফেলার জন্য এক ব্যক্তির ১৫ হাজার ডলার জরিমানা হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.