সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে পাকিস্তানে ততই বাড়ছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা। রবিবার ফের শিখ সম্প্রদায়ের ২২ বছরের এক যুবতীকে জোর করে অপহরণের অভিযোগ উঠল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাবের অ্যাটক জেলার হাসানবদল (Hassanabdal) শহরে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিখদের বিখ্যাত ধর্মস্থান পাঞ্জা সাহিব (Panja Sahib) গুরুদ্বারের কাছে একটি জায়গায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন ওই যুবতী। হাসানবদল শহরে তাঁর বাবার একটি দোকানও রয়েছে। সম্প্রতি বাড়িতে থেকে ময়লা ফেলার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান যুবতী। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসানবদল থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। খবর মেলেনি নিখোঁজ যুবতীরও।
এপ্রসঙ্গে অ্যাটক জেলা পুলিশের মুখপাত্র সাব ইনস্পেক্টর তাহির ইকবাল জানান, ওই যুবতীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে মেয়েটির বাবা উল্লেখ করেছেন, নিখোঁজ হওয়ার পরেরদিন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে একটি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছে। ওই যুবতীর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাঁর খোঁজ পাওয়া গেলেই জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
এপ্রসঙ্গে পাকিস্তান শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সর্দার অমর সিং বলেন, ‘এই ঘটনার পরেই মেয়েটির বাবা ও কাকা ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হক কাদেরির সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপরও কোনও খোঁজ মেলেনি। আমাদের আশঙ্কা পাকিস্তানের অন্য সংখ্যালঘু মহিলাদের মতোই হাল হয়েছে তাঁর।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.