Advertisement
Advertisement
Kamala Harris

ট্রাম্পের পর এবার বুলেটের নিশানায় কমলা হ্যারিস! ডেমোক্র্যাটদের প্রচার দপ্তরে চলল গুলি

বড় প্রশ্নের মুখে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নিরাপত্তা।

Shots fired at the Kamala Harris's poll campaign office in Arizona
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:September 25, 2024 12:35 pm
  • Updated:September 25, 2024 12:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুলাই মাসে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছিলেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। কান ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর। এবার এই নির্বাচনের আর এক পদপ্রার্থী, ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের প্রচার দপ্তরে চলল গুলি! মঙ্গলবার মধ্যরাতের এই ঘটনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠল।

চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জোর কদমে চলছে ভোটের প্রস্তুতি। কিন্তু পর পর এই ধরনের ঘটনায় বড় প্রশ্নের মুখে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নিরাপত্তা। রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিন অ্যারিজোনার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের প্রিস্ট ড্রাইভের কাছে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির প্রচার দপ্তরে গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। এখানে ১৮ জন সদস্য মিলে কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। বুধবার সকালে সেখানকার কর্মীরা দেখেন অফিসের সামনের জানলার কাচ ভাঙা। গুলির চিহ্ন রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা দল।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় থানার পুলিশ সংবাদমাধ্যমে জানান, যখন গুলি চলে তখন সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে হতাহতের কোনও খবর নেই। কারা, কেন কমলা হ্যারিসের প্রচার দপ্তরে গুলি চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সমস্ত কিছু ভালো করে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অ্যারিজোনার ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ইয়োলান্ডা বেজারানো বিবৃতি দিয়ে বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে অ্যারিজোনায় ডেমোক্রেটিক পার্টি হিংসার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সঙ্গে কাজ করব।” জানা গিয়েছে, শুক্রবারই অ্যারিজোনায় প্রচারের জন্য যাওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে এই ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। ফলে আরও জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে হামলার শিকার হন ট্রাম্প। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিপাবলিকান দলেরই সদস্য টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামে বছর কুড়ির এক তরুণ। কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায় ট্রাম্পের। যদিও ঘটনায়স্থলেই মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপারের গুলিতে খতম হয় টমাস। এই ঘটনায় নিরাপত্তায় ফাঁক থাকা নিয়ে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। পদত্যাগ করেন সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর। এর পর সেপ্টেম্বর মাসে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের গল্ফ ক্লাবেও গুলি চলে। গ্রেপ্তার করা হয় এক প্রৌঢ়কে। বাজেয়াপ্ত করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement