Advertisement
Advertisement

Breaking News

বন্দুকবাজের হামলা

নিউ ইয়র্কের বেআইনি ক্লাবে বন্দুকবাজের হামলা, নিহত অন্তত ৪

ক্লাবের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, পলাতক আততায়ী।

Shooting at illegal club in New York, atleast 4 died and 3 injured
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 12, 2019 8:57 pm
  • Updated:October 12, 2019 8:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সপ্তাহান্তের সকালে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে কেঁপে উঠল নিউ ইয়র্ক শহর। ব্রুকলিনে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে অন্তত ৪ জনকে খতম করল আততায়ী। আহত আরও ৩। যার মধ্যে এক মহিলাও আছেন।আততায়ীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

[ আরও পড়ুন : মোদি-জিনপিং সম্পর্কের ‘রসায়ন’ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ চিনা সংবাদমাধ্যমের]

পুলিশ সূত্রে খবর, ব্রুকলিনের ৭৪, উটিকা অ্যাভিনিউর একটি প্রাইভেট ক্লাবে সপ্তাহান্তে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাতের জন্য জমায়েত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় ৭টা। এমন সময়ে সেখানে ঢুকে পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক বন্দুকবাজা। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন ক্লাবের সদস্যরা। বন্দুকের শব্দ পেয়ে সজাগ হয়ে ওঠে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে মোট ৭ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ৪ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি তিনজনের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক মহিলা-সহ বাকি ২ জন যদিও বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এঁদের সকলের বয়স ৩২ থেকে ৫০এর মধ্যে। ততক্ষণে পুলিশের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে বন্দুকবাজ।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানতে পেরেছে, উটিকা অ্যাভিনিউয়ের যে ক্লাবটিতে জড়ো হয়েছিলেন সদস্যরা, সেটি বেআইনি এবং জুয়া খেলা হয়। ফলে এই সংক্রান্ত কোনও ঝামেলার জেরে গুলিচালনা কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ক্লাবের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু খেলার সামগ্রী, একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং একটি রিভলবার। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার পর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ নিউ ইয়র্ক পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা ঘটনা জানিয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন : মোদির সঙ্গে দক্ষিণী ব্যঞ্জন খেলেও পাকিস্তানকে ৩০০টি ট্যাঙ্ক দিচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট]

আমেরিকায় অস্ত্র আইন কিছুটা কড়া হওয়া সত্ত্বেও বন্দুকবাজের তাণ্ডব কমেনি। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে বেশ কয়েকবারই এধরনের হামলা চলেছে। প্রাণহানিও ঘটেছে। এর নেপথ্যে কখনও মানসিক অবসাদ, কখনও বা বর্ণবিদ্বেষের মতো কারণ প্রকট হয়েছে বারবার। আর প্রতিবারই হামলার পর পুলিশ নিরাপত্তার কড়াকড়ি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আসল সময়ে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement