সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার প্রকাশ্য জনসভায় গুলি করে খুন করা হয় জাপানের (Japan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে (Shinzo Abe)। গতকালই জানা গিয়েছিল, হত্যাকারী যুবক টেটসুয়া ইয়ামাগামি জাপানের নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী। নিজের হাতে তৈরি বন্দুক দিয়ে আবেকে খুন করে সে। কিন্তু কেন এই হত্যা? প্রাথমিক জানা যায়, আবের নীতি পছন্দ ছিল না টেটসুয়ার। এছাড়াও কম বয়সে সেনার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিল সে। শনিবার জাপানের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে আততায়ী প্রথমে এক ধর্মগুরুতে হত্যার পরিকল্পনা করে। যাঁর সঙ্গে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর যোগসূত্র রয়েছে।
হত্যার কারণ খুঁজতে ৯০ সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করেছে জাপান পুলিশ বিভাগ। ইতিমধ্যে আততায়ীর পরিচয় সামনে এসেছে। টেটসুয়া ইয়ামাগামি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরের বাসিন্দা। ৪১ বছর বয়সি টেটসুয়া সে দেশের নৌবাহিনীর সেল্ফ ডিফেন্স বাহিনীর সদস্য ছিল। ২০০৫ সালে বাহিনী থেকে তাঁকে অবসর দেওয়া হয়। কিন্তু হত্যার প্রকৃত কারণ নিয়ে ধন্দে টাস্ক ফোর্স। টেটসুয়া অবশ্য পুলিশকে জানায়, সে শিনজোকে হত্যার জন্যই এসেছিল। কারণ, শিনজোর নীতি ও কাজকর্মে অখুশি ছিল। যদিও পুলিশের এক আধিকারিক দাবি করেন, আবের রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে বিরোধ ছিল বলে জানায়নি আততায়ী। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমের দাবি, অল্প বয়সে চাকরি থেকে অবসর, বেকারত্বের জীবন, অর্থনৈতিক অনটনে অবসাদে ভুগছিল টেটসুয়া।
তদন্তকারীরা বলছেন, অনেক আগে থেকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল টেটসুয়া। এর জন্য নিজেই বানিয়ে ফেলে একটি বন্দুক। একসময়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া টেটসুয়ার পক্ষে কাজটা কঠিন ছিল না। যেমন, যথেষ্ট দূরত্ব থেকে শিনজোকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোও সম্ভব হয়েছে অল্পবয়সে পাওয়া সামরিক প্রশিক্ষণ থেকেই। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আরও কোনও বড় চক্রান্ত থাকার সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে, শুক্রবার শিনজো যে নারা শহরে আসবেন তা আততায়ী জানল কীভাবে! কারণ, বৃহস্পতিবার অনেক রাতে ঠিক হয়, তিনি নির্বাচনী প্রচারে এখানে আসছেন।
৯০ সদস্যের টাস্ক ফোর্স এখন এমন একাধিক প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছে। এর মধ্যেই জাপানি সংবাদমাধ্যম সূত্র জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে যুবক বলেছে, প্রাথমিকভাবে এক ধর্মগুরুকে হত্যার পরিকল্পনা করে টেটসুয়া। ওই ধর্মীয় সংগঠনটির সঙ্গে শিনোজ আবের যোগাযোগ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই বিষয় এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.