সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা দেখে ভেঙে পড়লেন শেখ হাসিনা। নির্যাতিতদের হাহাকার শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার, উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। হাসিনাকে সামনে পেয়ে বুক উজাড় করে দুর্দশার কথা উগরে দেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। জানালেন চোখের সামনে পরিজনদের হত্যা ও নারকীয় অত্যাচারের ঘটনার কথা। এই অমানবিক নৃশংসতার কথা শুনে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না হাসিনা। কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বাঁধভাঙা চোখের জলে ভাসলেন শরণার্থীরাও।
[ইজরায়েলের অস্ত্রেই রোহিঙ্গা জঙ্গি নিকেশ অভিযান মায়ানমারের]
মায়ানমারে চলা রোহিঙ্গা নিধন-যজ্ঞের কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরলেন আয়েশা বেগম নামের এক শরণার্থী। সেই নৃশংস ঘটনার কথা মনে করে শিউরে উঠছিলেন তিনি। আয়েশা জানান, তাঁর চোখের সামনেই বাবা, মা ও ভাইকে গুলি করে হত্যা করে মায়ানমারের সেনা। কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে মংডু থেকে পালিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। আয়েশার কথা শুনে প্রচণ্ড শোকাহত হয়ে পরেন শেখ হাসিনা। তারপরই কান্নায় ভেঙে পড়ে আয়েশাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় অন্যান্য রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও আহত পুরুষদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা সংঘাতের জেরে প্রায় ৭ লক্ষ শরণার্থী বাংলাদশে আশ্রয় নিয়েছেন। উল্লেখ্য, রবিবার একতরফা সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। তবে সেনা অভিযান এখনও চলছে। জানা গিয়েছে, মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘ল্যান্ডমাইন’ বিস্ফোরণে এপর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭ জন রোহিঙ্গা। অভিযোগ সীমান্তে ‘অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন’ পুঁতে রেখেছে মায়ানমারের সেনা। এই বিষয়ে সু কি সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছে ঢাকাও।
[রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে সমালোচিত ভারত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.