সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেড়াল ঠেলায় পড়েছে, ফলে ভূতের মুখে রামনাম শোনা যাচ্ছে! ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধে ঠেকে শিখেছে পাকিস্তান (Pakistan)। দেশটি আরও দুঃস্থ হয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে। উন্নযন দূরের কথা, বরং অর্থনৈতিক ভাবে খাদের কিনারে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-পাক সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সততার সঙ্গে বিশদে আলোচনায় বসতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সম্প্রতি একটি পাক সংবাদপত্রে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে অর্থনৈতিক সঙ্কটে বেসামাল পাকিস্তান। সঙ্কট মোকাবিলায় জেরবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ১০ হাজার পাকিস্তানি টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বাটি আটার জন্য রাস্তায় নেমে ভিক্ষে করছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দেশের থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা চাইছে পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, যে দেশ পারমাণবিক শক্তিতে বলীয়ান তাদের অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য এভাবে ভিক্ষে করা লজ্জার। বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণ চাওয়া নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
শরিফের এই মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানে জলঘোলা হচ্ছে। তার মধ্যেই পাকিস্তানের একটি বহুল প্রচারিত ইংরেজি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে দিনে দিনে অগ্রগতি হচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান আরও গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটে তলিয়ে যাচ্ছে। শরিফকে বিশ্বের দরবারে কার্যত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হচ্ছে। আর সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারতীয় প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার বার্তা, কাশ্মীরের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিশদে এবং সততার সঙ্গে আলোচনা হোক। এটা আমাদের উপরে যে শান্তিপূর্ণ অগ্রগতিতে মন দেবো, নাকি ঝগড়া করে নিজেদের সময় এবং সম্পত্তি ধ্বংস করব।”
শাহবাজের উপলব্ধি, “ভারতের সঙ্গে মোট তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। এর জেরে আমাদের দুর্দশা, দারিদ্র এবং বেকারত্ব বেড়েছে। যথেষ্ঠ শিক্ষা পেয়েছি এবং শান্তিতে থাকতে চাই এখন। কিন্তু তার জন্য আমাদের প্রকৃত সমস্যাগুলির সমাধানে মন দিতে হবে।” ভারতের ও পাকিস্তান দু’টি দেশই পরমাণু শক্তিধর। ফলে যুদ্ধ বাঁধলে দুই দেশের কী পরিণতি হতে পারে তা ভেবেও চিন্তিত পাক প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাক সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাহবাজ চৌধুরী উপসম্পাদকীয় লেখেন। সেখানে তিনি দ্রুত পাক অর্থনীতিকে মজবুত করায় জোর দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারত যে ২০৩৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠায় নজর দিয়েছে, সেকথাও বলেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.