সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বরাবরের জ্বলন্ত ইস্যুর নাম কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)উপত্যকা। এই সমস্যাই জিইয়ে রেখেছে সীমান্ত অশান্তি। আলাপ-আলোচনা, বৈঠক, মধ্যস্থতা – অনেকভাবেই সমাধানের চেষ্টা চলেছে। শান্তিপ্রতিষ্ঠার (Peace)উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বহু। কিন্তু এত বছর ধরে তা অধরাই। এবার প্রতিবেশী পাকিস্তানের (Pakistan) টালমাটাল পরিস্থিতিতে ফের কাশ্মীর ইস্যু উসকে উঠল। আর এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। যিনি এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তাঁর বক্তব্য, ”আমরা ভারতের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক চাই। তবে তা হবে তখনই, যখন কাশ্মীর সমস্যা সমাধান হবে।” নয়াদিল্লি অবশ্য এখনও শাহবাজ শরিফের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রচারের বেশিরভাগ আলো কেড়ে নিচ্ছেন যে ব্যক্তি, তিনি শাহবাজ শরিফ। শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান (Imran Khan) আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঘুরে গিয়েছে যাবতীয় প্রচারের আলো। তিনি আর কেউ নন, সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ সামলেছেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন পাঞ্জাবের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষমতাচ্যুত দাদা দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পাক রাজনীতিতে শাহবাজের গুরুত্ব হু হু করে বেড়ে যায়। কারণ এরপর তিনিই পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতা হয়ে ওঠেন। মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন।
ইমরান পরবর্তী পাকিস্তানে শাসকের কুর্সিতে বসতে চলেছেন শাহবাজ। ইতিমধ্যে বিরোধীরা তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে। তবে ইমরান ঘনিষ্ঠ অন্যান্য দলের তরফেও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। সোমবারের মধ্যেই তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। তবে তার আগেই তিনি দু-দেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করে ফেলেছেন। রবিবার পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে শাহবাজ বলেন, ”ভারতের সঙ্গে শান্তির বাতাবরণ বজায় রাখতে চাই আমরা। কিন্তু তার আগে শান্তির স্বার্থে কাশ্মীর জটিলতা কাটানো দরকার। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পথে এগোতে হবে বলে আমি মনে করি।”
সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়াও (Gen Qamar Bajwa) কাশ্মীর ইস্যুতে একই মতামত পেশ করেছিলেন। তাঁরও বক্তব্য ছিল, কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তারে মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সূত্র বের করা হোক। তবে বাজওয়া কিংবা শাহবাজ শরিফ, কারও বক্তব্যেরই কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত। বিদেশমন্ত্রকের নজর এখন ইসলামাবাদের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের দিকে। ইমরান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হন, তার উপর স্থির হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.