সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানামা পেপার কাণ্ডে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শেষপর্যন্ত ছাড়তে হয়েছে পদও। আর এই ঘটনার পরই পাকিস্তানে দেখা দিয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। অবশেষে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ঘোষিত হল পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। আপাতত ৪৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন শাহিদ খাগান আব্বাসি। শনিবার প্রথমে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক ও পরে সেনাবাহিনীকে জানানোর পরই একথা ঘোষণা করল সেদেশে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। তবে পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী পদ পাবেন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। আপাতত যিনি পাক-পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে।
Shahid Khaqan Abbasi to be nominated as interim prime minister of Pakistan: Pak media pic.twitter.com/z7qZrAUBCt
— ANI (@ANI_news) 29 July 2017
বর্তমানে নওয়াজের মন্ত্রিসভার পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আব্বাসি। সেখান থেকেই এবার সোজা নওয়াজের চেয়ারে। আপাতত সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে আব্বাসির নাম। তারপরে সংসদে আস্থা ভোটের পরই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। এর ৪৫ দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ শরিফ। তবে তাঁর জন্য নওয়াজ শরিফের ভাইকে নির্বাচন জিতে আসতে হবে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই লাহোরের এনএ-১২০, যা কিনা নওয়াজের নির্বাচনী ক্ষেত্র সেখানে ভোটের কথা ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
গত বছর পানামা পেপার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের লোকজনের। পানামার পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক কেলেঙ্কারিতেও তাঁদের দিকে আঙুল উঠেছিল। সু্প্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল সেই মামলা। শুক্রবার সেই বহু প্রতীক্ষিত মামলার শুনানিতেই অভিযুক্ত হন নওয়াজ। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দার, নওয়াজ পুত্র হুসেন নওয়াজ, হাসান নওয়াজ এবং কন্যা মারিয়াম শরিফের নামও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে। বিচারক এজাজ আফজল খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানিতে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করে বলে, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্য নন নওয়াজ। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া শুনানিতে শীর্ষ আদালত বলে, পাকিস্তানের জনগণ ও পার্লামেন্টকে ঠকিয়েছেন শরিফ। প্রধানমন্ত্রী পদের তিনি অমর্যাদা করেছেন। আদালতের এই রায়ের পরেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শরিফ। এর ফলে ফের একবার পাকিস্তানে তৈরি হয় রাজনৈতিক সঙ্কট। এই নিয়ে পাকিস্তানের ইতিহাসে তৃতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে নিজের মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না নওয়াজ শরিফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.