সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্গোতে কর্তব্যরত রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছিল। এই অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে ওই আধিকারিকদের সঙ্গে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্নেলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে ইসলামাবাদ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই পাকিস্তানি কর্নেল সাকিব মুস্তাকি কঙ্গোতে পুর্নবাসনের কাজে লিপ্ত রাষ্ট্রসংঘ মিশনের ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে রয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে ওই মিশনে কর্তব্যরত কয়েকজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আধিকারিককে ইসলাম (Islam) ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই খবর পাওয়ার পরেই রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল হেডকোয়ার্টারের তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানি ওই সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের মিশনের শুরু থেকেই কঙ্গোর (Congo) পূর্ব প্রান্তে ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করে পাকিস্তানি আধিকারিকরা। সেখানে কর্তব্যরত আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, কঙ্গোর গ্রেটার নর্থ কিবু ও ইতুরি অঞ্চলের অনেকগুলি মসজিদও বানিয়েছে তারা।
তবে এই প্রথম নয় পাকিস্তানের বিভিন্ন আধিকারিকরা পৃথিবীর নানা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে গিয়ে অপরাধমূলক কাজ করে বলে অভিযোগ। এর আগে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রমের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তাঁর সঙ্গীনি। যদিও কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকার জন্য আদালতের বাইরেই এই মামলার নিষ্পত্তি হয়। কোনও শাস্তিও দেওয়া হয়নি মুনির আক্রামকে।
২০১২ সালে হাউতিতে ১৪ বছরের এক নাবালককে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে রাষ্ট্রসংঘের কাজে আসা পাকিস্তানের দুই শান্তিকর্মীর বিরুদ্ধে। এর জেরে এক বছরের জেলও হয়েছিল তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.