সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি শেষে ফের গাজায় আগুন ঝরাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসের ডেরা খুঁজে খুঁজে আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। এবার তেল আভিভের হামলায় গাজায় খতম হয়েছে হামাসের ৩ শীর্ষ কমান্ডার। পাশাপাশি নিকেশ হয়েছে ইসলামিক জেহাদের এক জঙ্গিও। দীর্ঘ দিন ধরে এই জেহাদি গাজায় গাজায় অস্ত্র পাচার করছিল।
এই মুহূর্তে মধ্য এবং দক্ষিণ গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভয়ংকর অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরের অনেকখানি দখল করে ফেলেছে তারা। এই নেতজারিম করিডরের মাধ্যমেই উত্তর এবং দক্ষিণ গাজার মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকে। সেই করিডর ইজরায়েলের হাতে চলে যাওয়ার পর গাজার দুই প্রান্ত কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।
জানা গিয়েছে, তেল আভিভের হামলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে খতম হয়েছে হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রাশিদ জাহজু, আয়মান আতসিলা ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ওসামা তাবাশ।। আইডিএফের অভিযোগ, এই জেহাদিরা গাজাজুড়ে হামাসের মতাদর্শ প্রচার করত। অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নানা গোয়েন্দা তথ্য পাচার করত। পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্রের ছক কষত। এদিকে, আইডিএফের অন্য এক অভিযানে নিকেশ হয়েছে ইসমাইল আবাদ আল-আল। এই জেহাদি গাজায় অস্ত্রের চোরাচালান করত। ওই হাতিয়ারই ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হত।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ভয়ংকর হামলা চালায় হামাস। তারপর থেকে গাজার করুণ পরিণতি দেখছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু সেই হামলার পর নানা মহলেই প্রশ্ন উঠেছিল। কেন সেদিন হামাসের ষড়যন্ত্র ধরতে পারল না মোসাদের মতো ইজরায়েলের তাবড় গোয়েন্দা সংস্থা? আঙুল উঠেছিল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের দিকেও। এবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে বহিষ্কার করা হল শিন বেটের প্রধান রনেন বারকে। যিনি ৩২ বছর ধরে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু হামাসের হামলার পর থেকেই আর তাঁকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না নেতানিয়াহু। তাই রনেনকে ছাঁটাইয়ের পথেই হাঁটলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.