সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমা হায়দার পাকিস্তানে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে না এলে পরিণতি ভাল হবে না। এমন হুমকি আগেই দেওয়া হয়েছিল। এবার কার্যত সেই হুঁশিয়ারিকে সত্যি করেই পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের একাধিক হিন্দু মন্দিরে রকেট হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা।
জানা গিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের কাশমোর জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের বানানো ছোট ছোট মন্দিরগুলিতে রকেট হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, চলতি সপ্তাহেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। পুলিশের তরফে এসএসপি ইরফান সাম্মো জানান, সম্প্রতি বার্ষিক পুজো-অর্চনার জন্য মন্দিরগুলি খুলে দিয়েছিলেন বাগরি সম্প্রদায়ের লোকেরা। সেই সব মন্দিরেই রকেট হামলা চালানো হয়।
ইরফান সাম্মো জানান, “গত রবিবার হঠাৎই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই মন্দিরগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আট থেকে ন’জনের একটি সশস্ত্র দল এসে এই হামলা চালায়।” বাগরি সম্প্রদায়ের লোকেদের দাবি, প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়নি দুষ্কৃতীরা। এলাকার লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোই ছিল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি পাক যুবতী সীমা হায়দারের। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁদের আটকও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে শচীনের বাড়িতেই সংসার শুরু করেন তিনি। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও বেড়েছে। সীমা যাতে পাকিস্তানে ফিরে আসে, তার জন্য পাকিস্তানের তরফে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, সীমা না ফেরায় ‘উচিত শিক্ষা’ দিতেই মন্দির গুঁড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.