Advertisement
Advertisement

Breaking News

Japan

শক্তি বাড়াচ্ছে ‘ড্রাগন’, কৌশলগত অবস্থান মজবুত করতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাইডেনের

লালফৌজকে ঘিরে ফেলতে তৎপর আমেরিকা ও জাপান!

Security, China issue dominate Biden’s talks with Japan PM Kishida | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 22, 2022 9:12 am
  • Updated:January 22, 2022 9:12 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চিন (China)। যুদ্ধ শুরু হলে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে মদত দেবে আমেরিকা বলে আগেই ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে লালফৌজের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবস্থান মজবুত করতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

[আরও পড়ুন: কিমকে কুপোকাত করতে ব্যর্থ আমেরিকা! রাষ্ট্রসংঘে উত্তর কোরিয়ার পাশেই চিন-রাশিয়া]

দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমে আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন। তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়েই চলেছেন কমিউনিস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এহেন ডামাডোলে শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে ভারচুয়ালি বৈঠকে বসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রায় এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের আলোচনায় চিনের আগ্রাসী মনোভাব ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা জমায়েত ও উত্তর কোরিয়াত মিসাইল উৎক্ষেপণের বিষয়গুলিও উঠে আসে ওই বৈঠকে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কিশিদা বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সমমনস্ক দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করেছি আমরা। চিন সংক্রান্ত বিষয়ে যেমন, পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগর ও হংকংয়ের মতো বিষয়গুলিতে আমরা সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলব।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছর আমেরিকা ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক স্তরের বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেবার জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নবুও কিশির সঙ্গে আলাপ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছিল, চিন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, তাহলে একযোগে লালফৌজের বিরুদ্ধে ময়দানে নামবে আমেরিকা ও জাপান। যদিও সেই কৌশল কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগেওতাইওয়ানে চিনা আগ্রাসী গতিবিধি নিয়ে এর আগেও আমেরিকাকে সতর্ক করেছেন নবুও কিশি। দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমায় চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা যে লাগাতার বাড়ছে সেই কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

বলে রাখা ভাল, প্রায় ২.৪ কোটি জনসংখ্যার তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। বিশেষ করে বেজিংয়ে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। পরোক্ষে তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়ে একাধিকবার লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এহেন সময়ে তাইওয়ানের অস্তিত্ব রক্ষায় আমেরিকা-জাপান যুগলবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

[আরও পড়ুন: অরুণাচলের কিশোর অপহরণের ঘটনা ‘জানা নেই’! বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ ওড়াল চিনা বিদেশ মন্ত্রক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement