সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে ইরানের নজরদারি ড্রোনকে গুলি করে নামাল আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ। অন্যদিকে, ইরানের মোকাবিলায় সৌদিতে কাতারে কাতারে ফৌজ পাঠাচ্ছে আমেরিকা। এই প্রেক্ষাপটে সাজো সাজো রব ইরানের সেনাবাহিনীতেও। মার্কিন আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিতে কোমর বাঁধছে তেহরানও। ফলে উপসাগরীয় এলাকায় উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করেছে। এই উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যেই ইরানের মোকাবিলায় সৌদি আরবে প্রচুর সেনা মোতায়েন করতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শিগগিরই সৌদি আরবে যাবে বেশ কয়েক হাজার মার্কিন সেনা। এর জন্য অনুমতিও দিয়েছেন সৌদি আরবের রাজা সলমন।
[আরও পড়ুন: ‘থাকতে পারছি না কিছু করুন’, ট্রাম্পের কাছে কাতর আরজি বাংলাদেশি হিন্দু নেত্রীর]
সৌদি আরবের কোনও প্রত্যন্ত মরুভূমিতে আপাতত ঘাঁটি গাড়বে এই মার্কিন বাহিনী। এই প্রত্যন্ত মরুভূমিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই প্রত্যন্ত এলাকায় আপাতত রাখা হচ্ছে আমেরিকার সেনাকে। বিশাল মরুভূমিতে উপরে থাকবে ছাউনি। বালির নিচে থাকবে গভীর বাঙ্কার। সেখানে জল, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা সহ পরিকাঠামো মজুত থাকবে। এই বাঙ্কারগুলিতেই থাকবে মার্কিন সেনা। আগামী সপ্তাহেই প্রথম দফায় হাজার পাঁচেক মার্কিন সেনা সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবে বলে পেন্টাগন সূত্রে খবর।
আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ায় এই অঞ্চলে আরও বেশি বাহিনী রাখতে চাইছে পেন্টাগন। সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীকে রাখা হবে বলে খবর। ইরানের আগ্রাসী মনোভাবের সামনে সৌদি আরবকে রক্ষা করা তাদের কর্তব্য বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের নির্দেশকে সমর্থন করেছেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। অন্যদিকে, শুক্রবারই ইরানের ড্রোনকে গুলি করে সমুদ্রের জলে নামিয়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ ইরান। আমেরিকার পালটা জবাব, হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরে ইরানের দাদাগিরি ও নজরদারি বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন নৌসেনা।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, হরমুজ প্রণালীর কাছে আন্তর্জাতিক জলপথের সুরক্ষার জন্য মোতায়েন রয়েছে আমেরিকার উভচর যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস বক্সার। একসঙ্গে দু’-তিনটি নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছিল ইরান। মার্কিন যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি পরখ করতেই এসেছিল সেগুলি। হয়তো ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হামলাও চালাতে পারত। ড্রোনগুলিকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও সেগুলি পালিয়ে না গিয়ে চক্কর দিতে থাকে। এরপরই পালটা গুলি ছোঁড়া হয় অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট গান থেকে। তখন একটি ড্রোন ধ্বংস হয়ে জলে পড়ে। অন্য দুটি পালিয়ে যায়। নিজেদের সুরক্ষার জন্যই গুলি চালিয়েছে মার্কিন সেনা। ইরান সতর্ক না হলে আমেরিকা এরপর আরও কঠোর জবাব দেবে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফ দাবি করেছেন, ‘আমাদের কোনও ড্রোন ধ্বংস হওয়ার খবর নেই। আমেরিকা মিথ্যে বলছে।’
[আরও পড়ুন: গাড়িতেই বেকড বিস্কুট! আমেরিকার তাপমাত্রা চিন্তা বাড়াচ্ছে আবহাওয়াবিদদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.