সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন সলমন রুশদি (Salman Rushdie)। শনিবার সন্ধেয় ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে তাঁকে। কথাও বলতে পারছেন তিনি। নিউ ইয়র্কে ভাষণ দিতে গিয়ে ছুরিকাহত হন সলমন রুশদি। দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক তথা বুকারজয়ী লেখককে। হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। তারপর থেকেই উৎকণ্ঠায় থেকেছেন সবাই। অবশেষে মিলল ভাল খবর। তবে তাঁর বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক কেমন সে সম্পর্কে এখনও বিশদ কিছু জানা যায়নি।
রুশদির বন্ধু সাহিত্যিক আতিশ তাসির টুইট করে সাহিত্যিকের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তাঁর টুইট থেকেই জানা যায়, রুশদি এখন আর ভেন্টিলেটরে নেই। কথা বলছেন। এমনকী স্বভাবসিদ্ধ রসিকতাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। লেখকের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলিও খবরটির সত্যতা স্বীকার করেছেন। যদিও এবিষয়ে বিস্তারিত কেউই বলেননি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নিউ ইয়র্কের চাউটাউকুয়া ইন্সটিটিউশনে ভাষণ দিতে পৌঁছন রুশদি। ঠিক ছিল সেখানে ‘আমেরিকায় শরণার্থী লেখকেরা’ বিষয়ের উপর প্রখ্যাত সাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্চালক হেনরি রিস ৷ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর প্রকাশ্যে আসতে চলা রুশদির উপন্যাস ‘ভিক্ট্রি সিটি’ নিয়েও৷ কিন্তু সে সব অধরাই থেকে যায়৷ মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে ওই ব্যক্তি। তাঁকে কিল-চড়ও মারে হামলাকারী। এদিকে, সম্বিত ফিরে পেয়েই হামলাকারীকে ধরে ফেলেন সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা। রুশদিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে তার নাম হাদি মাতার। বয়স ২৪। সে নিউ জার্সির বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে হামলাকারীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে মনে করা হচ্ছে সে শিয়া চরমপন্থী। ইরানের ইসলামিক রেভিলিউশনারি গার্ড তথা IRGC-রও সমর্থক সে। মাতার কোন দেশের বাসিন্দা তা এখনও জানা যায়নি। তার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। আদালতে সে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও, আইনজীবীরা বিচারককে জানিয়েছেন এই হামলা যে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ তা পরিষ্কার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.