Advertisement
Advertisement
Salman Rushdie

আংশিক দৃষ্টিহীন রুশদি, অকেজো হাতও, জানালেন বুকার জয়ী লেখকের এজেন্ট

নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠানে ছুরিবিদ্ধ হয়েছিলেন সলমন রুশদি।

Salman Rushdie lost one eye sight, one hand after met knife attack | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:October 24, 2022 9:42 am
  • Updated:October 24, 2022 10:18 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন সলমন রুশদি (Salman Rushdie)। সেই সঙ্গে অকেজো হয়ে গিয়েছে তাঁর একটি হাতও। শরীরের নানা অংশে গভীর ক্ষত রয়েছে তাঁর। আততায়ী হামলার পরে জনপ্রিয় লেখকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এই কথা জানালেন তাঁর এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি। প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কে একটি আলোচনা সভায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় প্রবীণ লেখককে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে এখনও রুশদি হাসপাতালেই রয়েছেন কিনা, সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। 

স্পেনের একটি সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুশদির এজেন্ট উইলি। সেখানেই বুকারজয়ী লেখকের শারীরিক অবস্থার কথা উঠে আসে। উইলি বলেন, “রুশদির গলা আর ঘাড়ের কাছে তিনটে গভীর ক্ষত রয়েছে। বারবার ছুরির আঘাত লাগার ফলে রুশদির হাতের বেশ কিছু শিরা কেটে গিয়েছে। তাই ওই হাতটা একেবারেই অকেজো। তাছাড়াও এক চোখে আর দেখতে পাচ্ছেন না প্রবীণ লেখক। বুকের নানা অংশে মোট ১৫টি ক্ষত রয়েছে রুশদির।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: লড়াইয়ে নেই বরিস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে কার্যত নিশ্চিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক]

তবে রুশদি এখন কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অ্যান্ড্রু উইলি। হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছে, নাকি অন্য কোনও জায়গায় তাঁকে নিরাপদে রাখা হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। সর্বশেষ জানা গিয়েছিল, ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল রুশদির নামে। তাঁর বিখ্যাত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার পর রুশদিকে হত্যা করার নির্দেশ দেন ইরানের তৎকালীন শাসক আয়াতোল্লা খোমেইনি। সেই ফতোয়া আজ পর্যন্ত বহাল রেখেছে ইরানের প্রশাসন।

১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল দ্য স্যাটানিক ভার্সেস। তারপরে প্রায় নয় বছর ব্রিটিশ পুলিশের সহায়তায় নিরাপদ জায়গায় লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল রুশদিকে। গত ১২ আগস্ট নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন। তিনি মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় হাদি মাতার নামে এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে সে। তাঁকে কিল-চড়ও মারে হামলাকারী। পুলিশের তরফে জানা যায়, ইরানের চরমপন্থী শিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল হাদি মাতার।

[আরও পড়ুন: সোনা-রুপোয় সাজবেন মা, কলকাতার ৩৩ মণ্ডপে কালী প্রতিমার গয়নার পাহারায় সশস্ত্র পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement