সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেনাবাহিনীতে লড়াই করছে৷ বিমান চালাচ্ছে৷ নয়া কাজে লাগিয়ে চমকে দিচ্ছে সারা বিশ্বকে৷ সেই মেয়েদেরই কি না পাহাড়ে চড়া বারণ! শুনে হয়ত ভাবছেন নিশ্চয়ই সৌদি আরবের মতো কোন কট্টরপন্থী দেশে নয়া ফতোয়া জারি করা হয়েছে৷ বেড়ি পরানোর চেষ্টা করা হয়েছে মেয়েদের পায়ে৷ না মশাই, এটা সৌদি আরবের ঘটনা নয়৷ এমনই প্রথা চালু আছে তথ্যপ্রযুক্তির মক্কা বলে খ্যাত জাপানে৷
জাপানের দক্ষিণপ্রান্তে আছে ৫,৬৪০ ফুট উঁচু সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ৷ এটি জাপানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নয়, তাও বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মাউন্ট ওমিন পর্বতশৃঙ্গ৷ প্রতি বছর গরমকালে এই পাহাড়ের নিচে হাজির হন ইয়ামাবুশি সন্ন্যাসীরা৷ জাপানি ভাষায় ‘ইয়ামাবুশি’ কথার অর্থ পাহাড়ের মধ্যে অন্তর্গত হন যেসব সন্ন্যাসীরা৷ ইয়ামাবুশি সন্ন্যাসীদের কাছে অতি পবিত্র এই পর্বতশৃঙ্গ৷ প্রতিবছর এই শৃঙ্গে আরোহনের সময় পাহাড়ের পাদদেশে পুজো করে তবে উপরে ওঠেন ইয়ামাবুশিরা৷ কঠিন বন্ধুর পথ পেরিয়ে পাহাড় শীর্ষে উঠলে মনে করা হয় সমস্ত ইন্দ্রিয়কে জয় করা হয়েছে৷ আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশের অনুমতি মেলে তখনই৷ তাই জাপানিদের কাছে অতি পবিত্র এই মাউন্ট ওমিন৷ তবে এই পাহাড়ে চড়তে পারেন একমাত্র পুরুষরাই৷ সম্পূর্ণ নারীবর্জিত পাহাড়টি৷ গত ১,৩০০ বছর ধরে চলে আসছে এমনই প্রথা৷ এর সঙ্গেও জড়িয়ে আছে যৌনতার গল্প৷
১৮৭২ সালে আইন করে মহিলাদের পাহাড়ে চড়ার অনুমতি দেয় জাপান সরকার৷ তার আগে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট ফুজিতেও উঠতে পারতেন না মহিলারা৷ তবে দেশের আইনেরও তোয়াক্কা করেননি ইয়ামাবুশি সন্ন্যাসীরা৷ শতাব্দী প্রাচীন প্রথা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তাঁরা৷ তাই প্রথা রক্ষা করতে পবিত্র পাহাড়কে নারীবর্জিতই রেখেছেন তাঁরা৷ তাঁদের সঙ্গে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসনও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.